পূর্ব মেদিনীপুর: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। রাত পোহালেই সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ভোট দেখবে রাজ্যবাসী। তার আগের বিকেলেই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের (Mamata Banerjee) কণ্ঠে। নিজের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী তথা তৃণমূলের একদা দ্বিতীয় হেভিওয়েট নেতা ও নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ‘ম্যাচ হেরে গিয়েছেন’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই নন্দীগ্রামের মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন শুভেন্দু। প্রচার করেছেন সর্বস্ব দিয়ে। তাঁর সমর্থনে নন্দীগ্রামে এসে রোড শো করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অধিকারী-পুত্রকে পাশে বসিয়ে তিনি জানান, মমতাকে হারিয়েই বাংলায় আসল পরিবর্তনের সূচনা হবে। তবে রাজ্যের শাসকদলের প্রধান যে এই শাহি-বাণী নিয়ে ভাবিত নন, সেটা এ দিন নিজে শরীরী ভাষার মাধ্যমেই স্পষ্ট করেছেন।
এ দিন নন্দীগ্রামে পৌঁছে মমতা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানেই নন্দীগ্রামের পদত্যাগী বিধায়কের প্রসঙ্গ ওঠে। গ্রামবাসীর দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে শুভেন্দুর প্রচারের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নেত্রী বলেন, “ও তো নিজেও জানে যে ম্যাচ হেরে গিয়েছে। তাই যতটা হয় চেষ্টা করে নিচ্ছে। কিন্তু এসবে কিছু হবে না। খুব বাজেভাবে হারবে ও।”
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বহিরাগতদের ‘নো এন্ট্রি’, সীমান্ত সিল করল কমিশন
বুধবারও ফের একবার নির্বাচন কমিশনকে নিশানায় নিয়ে তোপ দাগেন মমতা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি সত্ত্বেও নানা এলাকায় অশান্তির ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা প্রতিদিন কমিশনে নালিশ জানাচ্ছি। কিন্তু ওরা আমাদের কথা শুনছে না। বিজেপি যা বলছে ওরা তাই শুনছে। আমি এরকম অসহায় নির্বাচন কমিশন আগে দেখিনি।”
পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “গুণ্ডারা গুণ্ডামি করবেই। কিন্তু কর্মীদের বলব ভয় না পেয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সেটা রুখতে। মানুষ নির্ভয়ে ভোট দেবে।” প্রসঙ্গত, আগামিকাল নির্বাচন শেষেও নন্দীগ্রামেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। যদিও তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি নন্দীগ্রামেই রাত্রিবাস করবেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: চলল গুলি, নামল র্যাফ, বারাকপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে চরম উত্তেজনা