কোলাঘাট: ফের অপসারিত এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান (Panchayet Pradhan)। মানসী দাস নামের ওই মহিলা তমলুকের (Tamluk) পদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে এতদিন দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীদের বিস্তর অভিযোগ জমে ছিল ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। এদিকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তৃণমূল নবজোয়ার কর্মসূচিতে গতকাল ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। অভিষেক যখন কোলাঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন পদমপুরের মহিলারা রাস্তায় নেমে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের কাছে ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। মানসী দাস নামে ওই পঞ্চায়েত প্রধান বিভিন্ন কাজের জন্য গ্রামবাসীদের থেকে টাকা নেন বলেও অভিযোগ মহিলাদের। তৃণমূল সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সেই অভিযোগ ওঠার পর গতরাতের মধ্যেই ওই পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। সেই মতো মানসী দাসও ইতিমধ্যেই প্রধানের পদ ছেড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এর আগেও দলের নীচু তলার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগ জমা পড়ার পর দলের তরফে কড়া পদক্ষেপের দৃশ্যও ধরা পড়েছে। এই যেমন পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই অতীতে এমন নিদর্শন রয়েছে। গত ডিসেম্বরে অভিষেক যখন কাঁথিতে সভা করতে গিয়েছিলেন, সেই সময় মারিশদার গ্রামবাসীরা তাঁর কাছে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান-উপপ্রধানদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা ৫ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রমাকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্রকে পদ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে অভিষেকের সেই নির্দেশ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।
এখানেই শেষ নয়, এরপর নদিয়ার রানাঘাটেও একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। রানাঘাটের তাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থপ্রতিম দে’র বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। মূলত, এলাকায় কাজ ঠিকভাবে না করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কানেও। আর অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ওই পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগ করার জন্য।
এবার এই নিয়ে তৃতীয়বার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জমা পড়ার পর এমন কড়া পদক্ষেপ করতে দেখা গেল দলের তরফে। যদিও আগের দুটি ঘটনা তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে ঘটেছিল। তৃণমূল নবজোয়ার কর্মসূচিতে এই প্রথম এমন কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে দেখা গেল তৃণমূল শিবিরকে।