Kunal Ghosh: নথি দেখিয়ে শুভেন্দু-সৌমেন্দুর সঙ্গে সারদার সম্পর্কের দাবি কুণালের, শুভেন্দুকে বললেন ‘চোরের রাজা চোর’

Suvendu Adhikary: ২০১১ সালে কাঁথি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ১১৬বি জাতীয় সড়কের ধারে সারদাকে বহুতল আবাসন প্রকল্প তৈরির অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কাঁথি পুরসভার বিরুদ্ধে। সে সময় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী।

Kunal Ghosh: নথি দেখিয়ে শুভেন্দু-সৌমেন্দুর সঙ্গে সারদার সম্পর্কের দাবি কুণালের, শুভেন্দুকে বললেন ‘চোরের রাজা চোর’
কুণালের তোপে শুভেন্দু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 9:31 PM

কাঁথি: নথি দেখিয়ে সারদা দুর্নীতিতে কাঁথির অধিকারী পরিবারের যুক্ত থাকার অভিযোগ তুললেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রবিবার বিকালে কাঁথি শহরের ডরমিটরি মাঠে ছিল ২১শে জুলাই সমাবেশের প্রস্তুতি সভা। সেই সভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে সারদা মামলায় অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারী, সৌমেন্দু অধিকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান কুণাল। শুভেন্দুকে ‘চোরের রাজা চোর’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, “চোরের রাজা চোর। সব দিক থেকে কাঁথিকে বিক্রি করেছেন। নিজেদের সম্পত্তি বাড়িয়েছেন। আর এখন বিজেপি-র দুয়ারে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোখ রাঙাচ্ছেন। সারদার সঙ্গে কাঁথি পুরসভার সম্পর্ক কোথা থেকে শুরু? ফাইল উধাও হয়ে গেল কেন পুরসভা থেকে! প্ল্যান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর প্রশ্ন এড়ালে হবে না। এফআইআর হয়েছে। পুলিশকে বলব, এরা প্রভাবশালী। এদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করুন। সিবিআই-কে বলব, কলার ধরে এদের জেলে ঢোকান।“

২০১১ সালে কাঁথি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ১১৬বি জাতীয় সড়কের ধারে সারদাকে বহুতল আবাসন প্রকল্প তৈরির অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কাঁথি পুরসভার বিরুদ্ধে। সে সময় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। এ দিন সৌমেন্দুর সই থাকা পুরসভার মানি রিসিট দেখিয়ে সারদা কর্তার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নেওয়ার অভিযোগ তোলেন কুণাল। তিনি বলেছেন, “সারদাকে কাঁথিতে শুভেন্দু সৌমেন্দু নিয়ে এসেছিল। বহুতল তৈরির জন্যে সুদীপ্ত সেনকে ভুল বুঝিয়ে রসিদের বাইরেও লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। কাঁথি পুরসভায় চার তলার বেশি বাড়ি তৈরির অনুমোতি দেওয়ার ক্ষমতা না থাকা সত্বেও ২২তলা আবাসন তৈরির প্ল্যান অনুমোদন করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দু, সৌমেন্দুরা টাকা নিয়েছে।“

শহিদ স্মরণে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভাতে প্রচুর লোক হয়েছিল। কুণাল ছাড়াও সভায় ছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়, প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি, জ্যোতির্ময় কর, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরিরা। কেন্দ্র ও রাজ্য রাজনীতির জন্য একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে জানান তৃণমূল নেতৃত্ব। কুণাল ঘোষ বলেন, “একুশের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই প্রতিহিংসায় মেতে উঠেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় সমস্ত এজেন্সিকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। বাংলায় উন্নয়ন হচ্ছে। সর্বস্তরের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। রাজ্যের মানুষের এই অধিকার অটুট রাখতে হবে।“ কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর রাজ্যপাল হতে পারেন বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে সেই প্রসঙ্গে কুণাল বলেছেন, “রাজনৈতিক গুরুত্ব শূন্যে পৌঁছে গিয়েছে। বাড়িতে থেকে ভাল লাগছে না। তাই কলকাতার ফ্ল্যাটে থাকার ইচ্ছে হয়েছে।“

কুণালের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুদাম পন্ডিত বলেছেন, “যারা অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁরা নিজেদের চিনতে পারছেন। একটা দুর্নীতি পরায়ন দল। চিটিংবাজি করে ক্ষমতায় এসেছেন। সন্ত্রাস করে ক্ষমতা দেখা করেছেন। প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করে যাচ্ছেন। বিজেপিকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন। শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা, তাই তাঁকে তাঁর পরিবারকে আক্রমণ করছেন।” এত দিন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও এই ঘটনার কেন তদন্ত করা হল না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।