TMC: প্রতিপক্ষ যেখানে ‘তৃৃণমূল’, সেখানে জয় তৃণমূলেরই
TMC: তৃণমূলের দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দ্বন্দ্ব তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে এনেছিল। তমলুকের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনোনীত প্রার্থী চন্দন ঘোড়াইকে তৃণমূলের প্যানেল থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চঞ্চল খাড়ার বিরুদ্ধে।

পূর্ব মেদিনীপুর: সবুজ আবির উড়ল তমলুকে। তমলুক টাউন ক্রেডিট কো অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে জয় তৃণমূলের। আর লড়াইও তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলেরই!
রবিবার তমলুক টাউন ক্রেডিট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচন ঘিরে সকালেই তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে ধস্তাধস্তি মারপিটের ঘটনা সামনে আসে।মোট আসন ৫৮, সেই সিটের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২, নির্দল ১, তৃণমূল কংগ্রেস একক ভাবে ৫৫ টি আসন পায়।
তৃণমূলের দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দ্বন্দ্ব তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে এনেছিল। তমলুকের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনোনীত প্রার্থী চন্দন ঘোড়াইকে তৃণমূলের প্যানেল থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চঞ্চল খাড়ার বিরুদ্ধে। তারপরেই তৃণমূল সমর্থিত নির্দল হিসেবে নির্বাচন লড়েন চন্দন ঘোড়াই।
ভোটে জিতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। অপরদিকে চন্দন ঘোড়াই নির্দল হিসাবে জয়লাভ করেন। চন্দন গোড়াইয়ের জয়লাভের পরে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেবশ্রী দাস মাইতি ফের প্রশ্ন তোলেন চঞ্চল খাড়ার ‘একনায়কতন্ত্রে’র বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, “জোর করে নির্দল তকমা দেওয়া হল।” জয়ী প্রার্থী চন্দন ঘোড়াই দাবি করেন, তিনি তৃণমূল করতেন তৃণমূলেই থাকবেন।
যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা শহর তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল খাড়া বলেন, “সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার ফলে কোন নির্দল প্রার্থী জয়লাভ করেছেন, এটা নিয়ে ভাবার কারণ নেই। এই জয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করা হলো।”
পুরো ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি কাউন্সিলর শবরি চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে, এক তৃণমূল কাউন্সিলর শাসকদলের ব্যানারের লড়ছে, অন্য কাউন্সিলর নির্দলের ব্যানারে লড়ছেন। মানুষ বুঝে গিয়েছে তৃণমূলের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে।”

