Purba Medinipur GP: শুভেন্দুর জেলায় সিংহভাগ পঞ্চায়েতেই ঘাসফুল, বিজেপি বলছে সব ‘ছাপ্পার মহিমা’

Kanishka Maity | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 12, 2023 | 9:12 PM

Purba Medinipur: Purba Medinipur: সূত্রের খবর, সুতাহাটা ব্লকের জয়নগর গ্রামপঞ্চায়েতে বোর্ড গঠিত হয়েছে। সেখানে তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে বাজিমাত করেছে বিজেপি। এখানে ১০টি আসনের মধ্যে ৭টি পেয়েছিল তৃণমূল, ৩টি বিজেপি। কিন্তু বোর্ড গঠনের সময় দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে যায় তৃণমূলের একাংশ।

Purba Medinipur GP: শুভেন্দুর জেলায় সিংহভাগ পঞ্চায়েতেই ঘাসফুল, বিজেপি বলছে সব ছাপ্পার মহিমা
পূর্ব মেদিনীপুরে সিংহভাগ গ্রামপঞ্চায়েত তৃণমূলের।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোটের বোর্ড গঠন চলছে জেলায় জেলায়। সিংহভাগ জেলাতেই ঘাসফুলের জয়জয়কার। তালিকায় রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের নামও। তবে বাকি জেলাগুলির তুলনায় এই জেলার তাৎপর্য কিছুটা বেশি। কারণ, এ জেলা বিরোধী দলনেতা তথা এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপির অন্যতম শীর্ষনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এর আগে তিনি যখন তৃণমূলে ছিলেন, সে সময়ও এ জেলায় তিনিই সর্বেসর্বা ছিলেন। সেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। দ্বিতীয়স্থানে পদ্ম শিবির। ২২১টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের প্রধান প্রাপ্তি ১৪২টিতে। বিজেপির ৬৮টিতে।

জেলায় ২২৩টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত ২২১টি গ্রাম-পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। জটিলতার কারণে স্থগিত রয়েছে সুতাহাটা ব্লকের কুকড়াহাটি ও এগরা-১ ব্লকের কসবা-এগরা গ্রামপঞ্চয়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। এদিকে প্রশাসন সূত্রের খবর, ২২১টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের প্রধান প্রাপ্তি ঘটেছে ১৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। বিজেপি প্রধান পদ পেয়েছে ৬৮টি গ্রামপঞ্চায়েতে। এছাড়া ২টিতে সিপিএম, ৫টিতে নির্দল, ২টিতে কংগ্রেস এবং ১টি করে পঞ্চায়েতে সিপিআই ও আইএসএফ প্রধান পদ পেয়েছে।

সূত্রের খবর, সুতাহাটা ব্লকের জয়নগর গ্রামপঞ্চায়েতে বোর্ড গঠিত হয়েছে। সেখানে তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে বাজিমাত করেছে বিজেপি। এখানে ১০টি আসনের মধ্যে ৭টি পেয়েছিল তৃণমূল, ৩টি বিজেপি। কিন্তু বোর্ড গঠনের সময় দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে যায় তৃণমূলের একাংশ। ভোটাভুটি শুরু হয়। তাতে তৃণমূলের সমর্থন আদায় করে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির নবনীতা সামন্ত। নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের আমদাবাদ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৫। সেখানে এবার বিজেপি পেয়েছিল ৭ টি, তৃণমূল ৫টি ও নির্দল ৩টি। নির্দলের ৩ সদস্যকে বোর্ড গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছিল তৃণমূল।

কিন্তু অভিযোগ, তৃণমূলের এক সদস্যকে ভাঙিয়ে নেয় বিজেপি। দলত্যাগী তৃণমূল সদস্য পূর্ণচন্দ্র মণ্ডলকে প্রধান পদে বসিয়ে এদিন বোর্ড গঠন করে বিজেপি। তফসিলি প্রার্থীর জন্য প্রধান পদ সংরক্ষিত থাকায় রামনগর-২ ব্লকের কাদুয়া গ্রামপঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে প্রধান পদ। সেখানে প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির রতিকান্ত দাস।

এ প্রসঙ্গে জেলা যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে বিশ্বাস করি। মানুষের নিদান মাথা পেতে নিয়েছি। গত বিধানসভা ভোটে এই জেলার মোট ১৬টি আসনের মধ্যে ৯টায় জয়লাভ করি। যে ৯টায় জিতি, সেখানে রেজাল্ট ভাল হয়েছে। তবে ৭টা বিধানসভায় ফল খারাপ হয়, পঞ্চায়েতে সেই তুল্যমূল্য বিচার করলে ফল ভাল হয়েছে। কিছু গ্রামপঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। খুব কম ব্যবধানে হেরেছি। ২৫টা পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ২১টায় জিতেছি। আবার জেলা পরিষদের ৭০টার মধ্যে ৫৬টায় জিতেছি।”

অন্যদিকে কাঁথির সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, “দেখুন এখানে ভোটই তো হয়নি। ভোট হলে জেলা থেকে তৃণমূল মুছে যেত। সর্বত্রই তো তৃণমূল ছাপ্পাভোট, সন্ত্রাস করেছে। যেখানে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে, সেখানে বিজেপি জিতেছে। পুরো জেলায় ৬৭টা জিতেছি। যেখানে তৃণমূল ছাপ্পায় জিতেছে সেখানে ওদের আসল জয়। তাই ওরা ভাবছে অনেক জিতেছে।”

Next Article