পূর্ব মেদিনীপুর: শুধু বাংলার মানুষই নন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন পর্যটকরা ভিড় করেন দিঘায়। এমনকী বিদেশিদেরও ভিড় বাড়ছে সৈকত শহরে। দিঘার পাশাপাশি মন্দারমণি, তাজপুরেও বাড়ছে পর্যটক। পর্যটকদের সুবিধায় এবার টুরিস্ট গাইড থাকবে এখানে। একেবারে সরকারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টুরিস্ট গাইড। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল টুরিস্ট গাইড সার্টিফিকেশন স্কিম‘-এর আওতায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের তরফে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে টুরিস্ট গাইড হিসাবে। বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় তাঁরা পর্যটকদের ঘোরাবেন, গাইড করবেন। টুরিস্ট গাইড পর্যটনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। রাজ্যের বিভিন্ন ভ্রমণস্থলেই তাঁদের দেখা যায়।
দিঘায় এমনিতেই মানুষের ঢল নামে। তার উপর আবার জগন্নাথ মন্দির হচ্ছে সেখানে। এরপর জনসমাগত যে বহুগুণ বেড়ে যাবে তা বলাই যায়। সেখানে একজন গাইডের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মত অনেকেরই। প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের পাশাপাশি উপকূলের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় থাকবেন তাঁরা।
রামনগর-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাইচরণ সার জানান, সরকারিভাবে টুরিস্ট গাইডের যাঁরা ট্রেনিং নিয়েছেন তাঁরাই পর্যটকদের গাইড হিসাবে কাজ করতে পারবেন। এই ধরনের টুরিস্ট গাইডের ক্ষেত্রে দু’টি ভাগ আছে। একেবারে নবিশ যাঁরা তাঁদের প্রশিক্ষণ একরকম, একজন গাইড হিসাবে কমপক্ষে ৩ বছর কাজ করেছেন তাঁর জন্য আবেদন পদ্ধতি আলাদা।
আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। সঙ্গে মাধ্যমিক পাশ। সমস্ত প্রশিক্ষণ কারিগরি শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমে উৎকর্ষ বাংলা মডিউলের অধীনে জেলা পর্যায়ে পরিচালিত হচ্ছে। পর্যটন এলাকায় উন্নয়ন পর্ষদ ও ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে বসে নির্দিষ্ট আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে কাজে যোগ দিতে চলেছেন টুরিস্ট গাইডরা।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষ্ণপদ দাস বলেন, “সরকার টুরিস্ট গাইড হিসাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। ট্রেনিং শেষে আমরা সার্টিফিকেট পাই। প্রশাসন জানিয়েছে কাজে নামতে। টুরিস্টদের গাইড করা আমাদের কাজ হবে।”