দিঘা: শক্তি হরিয়েছে অশনি। তীব্র ঘূর্ণিঝড় থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে সে। ক্রমশ অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। আবহবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, খানিকটা উত্তরের দিকে ঘোরা শুরু করেছে। ফলে ল্যান্ডফলের আপাতত কোনও সম্ভবনা নেই। তবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে উপকূলে।
এদিকে, অশনির প্রভাবে এই রাজ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে চলছে বৃষ্টি।উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি জেলাতে বৃষ্টি হচ্ছে। হওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। এদিকে, দিঘাতে আজ সকাল থেকেই শান্ত সমুদ্র ও মনোরম পরিবেশ লক্ষ্য করা গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে দিঘায় যে সকল পর্যটক আসছিলেন তাঁরা অশনি সঙ্কেত পেয়ে দিঘা ছাড়তে শুরু করেছিলেন গতকালই। তবে বিকেল থেকে ছবিটা বদলে যায়। বৃষ্টি হলেও, সমুদ্র শান্ত থাকায় ভিড় জমাতে শুরু করেন অনেকেই। যদিও, প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
এক সিভিল ডিফেন্স কর্মী বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই মাইকিং করছিলাম যাতে সমুদ্রে কেউ না নামেন। পাশাপাশি লাইফ জ্যাকেট রয়েছে।টিউব রয়েছে। তবে এত সবের পরও প্রচুর পর্যটক নির্দেশিকা অমান্য করে সমুদ্রে নামছেন। কথাই শুনছেন না কেউ। আমরা বারবার বলেছি সমুদ্রে নামবেন না। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’ এক পর্যটক বলেন, ‘সমুদ্রে নামতে না পেরে খুব খারাপ লাগছে। প্রচুর মানুষ আশা নিয়ে এখানে এসেছেন। কিছুই হচ্ছে না। সমুদ্রে স্নান করতে পারছি না ভালো লাগছে না।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর উপকূল এবং ওড়িশায় আজ রাত থেকেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে বিশাখাপত্তনম বন্দর ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দরের ডিরেক্টর শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, উড়ান সংস্থা ইন্ডিগো ইতিমধ্যেই আসা-যাওয়া মিলিয়ে ২৩ টি বিমান বাতিল করে দিয়েছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি আরও জানিয়েছেন, এয়ার এশিয়ারও চারটি উড়ান বাতিল করা হয়েছে আজকের জন্য।