নন্দীগ্রাম: কলকাতায় পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার আলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। শনিবার ইডির তদন্তকারী দল হানা দেয় তাঁর বাড়িতে। খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয় থরে থরে টাকা। যা নিয়ে ফের তোলপাড় বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। এবার এ ঘটনার নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। ১৩ তারিখ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। সে উপলক্ষে গোটা রাজ্যে প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। এদিন নবান্ন অভিযানের প্রচারের উদ্দেশে নন্দীগ্রাম স্টেট ব্যাংক মোড় থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত পদযাত্রা করেন বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার পদ্ম কর্মীরা। সেখানেই ফের একবার শাসকদলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাতে দেখা গেল শুভেন্দুকে।
শুভেন্দু বলেন, “আমিরের ঘরে গিয়েছে ইডি। টাকা গুনছে তো গুনছেই। যেন চার আর ছক্কা মারছে। এরপর ববি বলছে ব্যবসায়ীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এখন উন্নয়ন কোথায়? দুয়ারে নেই খাটের তলায়। খাটের তলায় উন্নয়ন। গোদী তুললেই টাকা টাকা টাকা আর টাকা। আর দেশের প্রধানমন্ত্রী আছেন বলে পশ্চিমবঙ্গের গরিব মানুষরা রেশন পাচ্ছেন। মাথা পিছু পাঁচ কেজি করে চাল/গম পান গরিব কল্যান যোজনার হাত ধরে। আমিরের ঘর থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা কলকাতার মেয়র ইন কাউন্সিল মিস্টার শামসের টাকা।” একইসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকের বিরুদ্ধে এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগেন তিনি।
সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী এদিন শামস ইকবাল নামে যে কাউন্সিলরের নাম নিয়েছেন তিনি আবার ফিরহাদ হাকিমের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচত। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শামস। তিনি বলেন, “নাসির খানের বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধারের খবরে আমরাও অবাক হয়ে গিয়েছি। কিন্তু, এলাকাতে তো ২-৩ লক্ষ লোক থাকে। তারমধ্যে কারা কি করছে এটা তো আমাদের দায়িত্ব নয় দেখার। আমার দায়িত্ব ওয়ার্ডের খেয়াল রাখা। রাস্তার আলো, জল, পরিচ্ছন্নতা সব ঠিক রাখা। তাই কে কোথায় কী ব্যবসা করছে তা তো জানার আমার অধিকার নেই। আমার সঙ্গে তো ওনার কোনও সম্পর্কই নেই। শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। উনি তো এসব বলবেনই। তদন্তকারী দল তদন্ত করছে। তাঁদের তদন্ত করতে দিন।”