TET Movement: ‘মমতা-অভিষেকের কথা শুনলে কবে টেট সমস্যা মিটে যেত’, বলছেন নির্মল

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 13, 2022 | 6:42 PM

TET Movement: আন্দোলন হচ্ছে। ইট ছুড়ছে, পাথর ছুড়ছে, বোমা ছুড়ছে। কিন্তু পুলিশ মার খেয়েও কোথাও কিছু করছে না। বামফ্রন্টের সময় কথায় কথায় পুলিশ গুলি চালাত।

TET Movement: মমতা-অভিষেকের কথা শুনলে কবে টেট সমস্যা মিটে যেত, বলছেন নির্মল

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: কখনও কোর্টের নিয়োগ নির্দেশ, আবার কখনও নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) তদন্তে চাপানউতর বেড়েছে নাগরিক মহলে। একইসঙ্গে টেট (TET) উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের লাগাতার অন্দোলনে অস্বস্তি বেড়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। তবে যে সমস্ত টেট প্রার্থীরা আন্দোলন করছেন তাঁরা কোর্টে না গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনে উঠে গেলে কবে সমস্যা মিটে যেত! রবিবার বর্ধমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য শাখার প্রীতি সম্মেলন তথা কর্মীসভায় এসে এ মন্তব্য করতে দেখা গেল প্রোগ্রেসিভ ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা বিধায়ক নির্মল মাঝিকে (Nirmal Majhi)। যা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলা তথা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। এদিনের সভায় নির্মল মাঝি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক খোকন দাস, শম্পা ধারা সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। 

এদিন নির্মল বলেন, আন্দোলনকারীদের কাছে যেদিন অভিষেক গিয়েছিলেন সেদিন অভিষেকের কথা শুনে তাঁরা উঠে গেলে কবে এটা মিটে যেত। দিদিও নিজে বলেছিলেন এদের চাকরি দিয়ে দেবেন। কিন্তু তাঁরা শোনেনি। বামপন্থী আইনজীবীদের কথা শুনে কোর্টে চলে গেলেন। এখন কোর্ট যা করার করবে। দিদির উপর ছেড়ে দিলে কবে হয়ে যেত। এখন মমতাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এখন কোর্টে গিয়েছে। কোর্ট যা করার করবে।” একইসঙ্গে বিরোধীদের বিঁধে তিনি আরও বলেন, “বামপন্থী আইনজীবী কথায় কথায় কেস দিচ্ছে। বিজেপি পিছন থেকে টাকা সাপ্লাই দিচ্ছে।” এখানেই না থেমে নির্মল আরও বলেন, “এখন কত জায়গায় আন্দোলন হচ্ছে। ইট ছুড়ছে, পাথর ছুড়ছে, বোমা ছুড়ছে। কিন্তু পুলিশ মার খেয়েও কোথাও কিছু করছে না। বামফ্রন্টের সময় কথায় কথায় পুলিশ গুলি চালাত।”

একইসঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিরোধীদের বলব আপনারা আসুন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। তবে জিতব আমরাই। মমতার সরকারের ৬৮টা জনমুখী প্রকল্প দেখে মানুষ উজাড় করে ভোট দেবে। আমরা আছি গণদেবতার সঙ্গে। রক্ত মাংসের মানুষ আমাদের ঈশ্বর।” পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “নির্মল মাঝি সিপিএমকে অক্সিজেনকে জোগাতে চাইছেন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল জিতবে না জেনেই সিপিএমের নাম উনি নিচ্ছেন। মানুষ তো সিপিএমকে ভুলে গিয়েছিল। তিনি সিপিএমকে আবার ঢোকাতে চাইছেন। চাকরি বিষয়ে আদলতই শেষ কথা বলেন। কিন্তু নির্মালবাবু কী অভিষেক-মমতাকে আইনের ঊর্ধ্বে ধরছেন? আদালতের কোনও মূল্য নেই?”

Next Article