AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purba Medinipur: পূর্ব মেদিনীপুরে ডাকাতি, উত্তর প্রদেশে ধরা পড়ল ২ ডাকাত

Two arrested from Uttar Pradesh: ​জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জানান, "দীর্ঘ তিন মাস ধরে তদন্ত চালানোর পর আমরা মূল অভিযুক্তদের হদিস পাই। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রে আর কেউ জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।" ​পুলিশ সূত্রে খবর, এই ডাকাত দলটি পেশাদার এবং আন্তঃরাজ্য অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত।

Purba Medinipur: পূর্ব মেদিনীপুরে ডাকাতি, উত্তর প্রদেশে ধরা পড়ল ২ ডাকাত
পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 17, 2025 | 7:06 PM
Share

তমলুক: সোনার দোকানে ডাকাতি। তিন মাসের মধ্যে বড় সাফল্য পেল পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ। তমলুকে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় উত্তর প্রদেশ থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও সোনা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজনকে জেলায় আনা হয়েছে। অন্যজনকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে জেলায় আনছে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা নাগাদ মিলননগর বাজারের ওই সোনার দোকানে হানা দেয় একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী। দোকানের কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে, হাত-মুখ বেঁধে সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দেয় তারা। জনবহুল এলাকায় সকালবেলার এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনার চার দিনের মাথায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করতে পারলেও মূল পান্ডারা ছিল অধরা। ​তদন্তে নেমে জেলা পুলিশ ওই এলাকার প্রায় ১৭১টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে। সূত্র ধরে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয় তমলুক থানার পুলিশের একটি বিশেষ দল। উত্তর প্রদেশ থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং লুঠ হওয়া সোনার একাংশ।

​বুধবার তমলুকে এক সাংবাদিক বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত জেলা পুলিশ সুপার মিতুন দে জানান, উত্তরপ্রদেশের আগ্রা ও গাজিয়াবাদ থেকে দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, ১০টি কার্তুজ এবং প্রায় ১৬০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজনকে মঙ্গলবার তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। অন্যজনকে ট্রানজিট রিমান্ডে জেলায় আনা হচ্ছে।

​জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জানান, “দীর্ঘ তিন মাস ধরে তদন্ত চালানোর পর আমরা মূল অভিযুক্তদের হদিস পাই। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রে আর কেউ জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।” ​পুলিশ সূত্রে খবর, এই ডাকাত দলটি পেশাদার এবং আন্তঃরাজ্য অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত।