West Bengal Assembly Election 2021: ধুতি ছেড়ে পাজামা, মমতাকে হারাতে শুভেন্দু ফিরলেন শুভেন্দুতেই

Mar 12, 2021 | 6:39 PM

মনোনয়ন (West Bengal Assembly Election 2021) জমা দেওয়ার আগে শুভেন্দু তিনপক্ষের অনুমতি নিলেন। দেবী সিংহবাহিনী। দেব জানকীনাথ। আর জমি আন্দোলনের শহিদ পরিবার।

West Bengal Assembly Election 2021: ধুতি ছেড়ে পাজামা, মমতাকে হারাতে শুভেন্দু ফিরলেন শুভেন্দুতেই
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

নন্দীগ্রাম: আঞ্চলিক বিদ্রোহ দমনে অভিযানে নামতেন মুঘল বাদশাহরা। নন্দীগ্রামের ভোটযু্দ্ধ অনেকটা সে কথাই মনে পড়িয়ে দিচ্ছে। বেকাবু বিদ্রোহীকে শিক্ষা দিতে কলকাতা থেকে ছুটে এসেছেন শাসকদলের নেত্রী। নিজে নেমেছেন ময়দানে। যাঁকে হারাতে এত তোড়জোড়, তাঁর তোড়জোড় কী রকম? মনোনয়ন (West Bengal Assembly Election 2021) জমা দেওয়ার আগে শুভেন্দু তিনপক্ষের অনুমতি নিলেন। দেবী সিংহবাহিনী। দেব জানকীনাথ। আর জমি আন্দোলনের শহিদ পরিবার।

কাঁথি পুরসভার পনেরো নম্বর ওয়ার্ড। কলেজ রোডে আর পাঁচটা বাড়ির সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে রয়েছে শান্তিকুঞ্জ। সকলের সঙ্গে থেকেও এই বাড়ি আলাদা। এই পরিবার আলাদা। কারণ এটা অধিকারীদের পরিবার। জেলায় তাদের বাড়ি পরিচিত অধিকারী ভবন নামে।

ঘড়ির কাঁটায় কাঁটায় ঠিক আটটা। শান্তিকুঞ্জ থেকে বেরোলেন অধিকারীদের দ্বিতীয় প্রজন্মের মেজো ছেলে। জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব। কারণ তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন শাসকদলের সেনাপতিকে। তাঁকে হারাতেই নন্দীগ্রামে ছুটে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। আজ শুভেন্দুর পালা। দুপুরের পর হলদিয়ায় সেই পর্ব মিটবে। মেজো অধিকারীর এখন গন্তব্য আলাদা।

ঠিক সকাল নটা তিন মিনিটে সোনাচুড়ার সিংহবাহিনী মন্দিরে পৌঁছল শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়। সকাল ৯টা বেজে আঠাশ মিনিটে সিংহবাহিনী মন্দির ছেড়ে বেরিয়ে এলেন শুভেন্দু। পরের গন্তব্য নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রাম বাজারের জানকীনাথ মন্দির। এই মন্দিরের যাবতীয় সংস্কার নাকি তাঁরই হাত ধরে। দুদিন আগেই এক জনসভায় দাবি করেছেন এলাকার বিজেপি প্রার্থী। এদিন মন্দিরে যজ্ঞের আয়োজন করে আর্যসমাজ। শুভেন্দু হোমে বসলেন। জানকীনাথের আশীর্বাদ নিয়ে শুভেন্দু গেলেন গোপালনগরের করপল্লিতে। নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের শহিদদের অনুমতি নিতে। করপল্লিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছুটলেন হলদিয়া।

আরও পড়ুন: জল্পনায় থাকলেও মাঠে নেই মিঠুন! শুভেন্দুর প্রচারে তাঁর অনুপস্থিতিতে উঠছে প্রশ্ন

একুশের যুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন রাজ্যবাসী। কখনও হরিনাম সংকীর্তনে ভক্তের ভূমিকায়। কখনও সাদা ধুতি পাঞ্জাবি পরে বাঙালি বাবুর সাজে। তবে মনোনয়নের দিনটায় শুভেন্দু ফিরলেন শুভেন্দুতেই। সাদা পায়জামা পাঞ্জাবি। পায়ে চটি। নন্দীগ্রাম থেকে সংসদ হয়ে পরিবহণ দফতর। গত ১৪ বছর ধরে এটাই তাঁর ট্রেডমার্ক পোশাক। কঠিনতম যুদ্ধের আগে চেনা রণবেশ গায়ে চাপালেন রাম সেনাপতি? শুভেন্দু অবশ্য মানেন না যে নন্দীগ্রামে তাঁর লড়াই কঠিন।

Next Article