পূর্ব মেদিনীপুর: নির্বাচন পর্ব মিটেছে। তবে এখনও অব্যাহত হিংসা। আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে দলবদলের খেলা। গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী সিপিএম প্রার্থী যোগ দিলেন তৃণমূলে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বেশ কিছু তৃণমূল নেতৃত্ব। ক্ষুব্ধ জেলা সভাপতিও। পাঁশকুড়ার চৈতন্যপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআইএম প্রার্থী শেখ শাজাহান আলি তৃণমূলকে ৮৫ ভোটে হারিয়ে জয়লাভ করেন। জয়লাভের পরেই তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রর হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন। তবে, বিরোধীদের কটাক্ষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কোনও নির্দল প্রার্থীকে আর দলে ফেরানো হবে না। কিন্তু নির্দল তো দূর, জয়ী সিপিএম প্রার্থীকে তৃণমূলে নেওয়া হচ্ছে।
পরাজিত প্রার্থী শেখ জালালউদ্দিনের বক্তব্য, তিনিই দলের পুরনো কর্মী। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। এবারও দল থেকে টিকিট পেয়েছিলেন। ওই এলাকার বুথ সভাপতি সিপিএম-এর সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া করে তাঁকে হারিয়েছেন।
যদিও সিপিআই এম প্রার্থী শেখ শাজাহান আলির দাবি, একা জিতে বোর্ড গঠন করতে পারবেন না তাই তৃণমূলে যোগদান। তবে তৃণমূল প্রার্থীর তোলা সেটিং তত্ত্বকে খারিজ করে দিয়ে তিনি বলেন, আসলে পরাজিত হয়ে এখন এসব বলছেন।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলে, রেগে আগুন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, “বুথের ব্যাপার বুথেই মিটবে। আমার বাড়ির ত্রিসীমানায় আসবে না। সিপিএম প্রার্থী তৃণমূলের উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন।”
প্রসঙ্গত, খানিকটা এরকম ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদেও। বলা যেতে পারে, মুর্শিদাবাদের এক নতুন বায়রনের জন্ম হয়েছে। কংগ্রেসের টিকিটে জিতেই পরের দিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এক পঞ্চায়েত মহিলা প্রার্থী। তা নিয়েও শুরু হয়েছে চরম জলঘোলা।