পূর্ব মেদিনীপুর: ইংরাজিতে বলে ‘লংটুথ স’ফিশ’ (Sawfish)। বাংলায় চিরুনি ফাল মাছ। মুখের সামনের অংশ একেবারে চিরুনির মতোই দেখতে হয় এই মাছের। রবিবার সকালে বিলুপ্তপ্রায় এই মাছের দেখা মিলল দিঘার মোহানায়। ছুটির সাগরপাড়ে এই মাছ দেখতে উপচে পড়ে পর্যটকদের ভিড়। ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজনও।
স’ফিশ প্রজাতির এই মাছকে কেউ কেউ করাত মাছও বলে। বঙ্গোপসাগরের গভীরে এই মাছের দেখা মিললেও জেলেদের জালে ধরা পড়ার খবর অতি সম্প্রতি দিঘার কোনও মাছ ব্যবসায়ীই মনে করতে পারছেন না। এরা গভীর সমুদ্রে ৮০ থেকে ৮৫ ফুট জলের গভীরে থাকে।
নোনা, মিষ্টি উভয় স্বাদের জলেই থাকে এরা। সি ফুডের তালিকায় বিশেষ করে বিভিন্ন নামজাদা রেস্তোরাঁয় স্যুপে ব্যবহার করা হয় এই মাছ। ওড়িশার পারাদ্বীপের এক মৎস্যজীবী মাছটি দিঘা মোহানার মাছের বাজারে নিয়ে এসেছিলেন বিক্রির জন্য। মাছটির ওজন প্রায় সাড়ে ৫০০ কেজি। জানা গিয়েছে, পারাদ্বীপের একটি ট্রলারে ধরা পড়ে মাছটি। এই মাছ বিক্রি করে ভালই টাকা ঘরে আসবে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। জানা গিয়েছে এই মাছের পাখনার কাছের অংশটির চাহিদা সবথেকে বেশি। ওষুধ তৈরিতেও তার ব্যবহার হয় বলে জানা যাচ্ছে।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী অরূপকুমার বল বলেন, “পারাদ্বীপ বন্দর থেকে এসেছে মাছটা। এটা খুব মূল্যবান ওষুধ তৈরির কাজে লাগে। পাখনাগুলো দিয়ে মূলত ওষুধ তৈরি হয়। এটা প্রায় বিলুপ্তই। এখন আর পাওয়া যায় না। খুব কম ওঠে দিঘায়।” শুধু পর্যটকরাই নন, এই মাছ দেখে দারুণ খুশি এলাকার মৎস্যব্যবসায়ীরাও।