পূর্ব মেদিনীপুর: এগরার খাদিকুলে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার খাদিকুলে নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন তিনি। একইসঙ্গে নিহতদের পরিবারের একজন করে সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরির কাগজও তুলে দেন তিনি। ঘটনার প্রায় ১২ দিন পর খাদিকুলে পা রেখে মমতাকে বলতে শোনা গেল, “এই ঘটনায় আমাদের চোখ খুলে গিয়েছে।” যদিও এগরার পর বজবজ, মালদহ দেখেছে বাংলা। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার মতো একাধিক জেলায় প্রায় প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে বাজি। আর এখানেই মমতার বক্তব্যের পর বিরোধী মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি চোখ খুলল প্রশাসনের?
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখানে বেআইনি বাজি কারখানায় ১১ জন মারা গিয়েছেন। যাঁরা চাকরি করতেন, মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ঘটনায় আমাদের চোখ খুলে গিয়েছে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটা কমিটি হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে রিপোর্ট আসবে। আমরা বাজির ক্লাস্টার তৈরি করব।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, টাকার লোভে অনেকে এই বেআইনি বাজি কারখানা চালাচ্ছে। আর তার জন্যই খাদিকুলের মতো ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, এলাকায় কোনওরকম বেআইনি বাজি কারখানার খবর কানে এলে তা যেন থানায় জানানো হয়। কার্যত পুলিশের উপর ভরসা না রেখে জনতার উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “ওসিকে জানান। তিনি যদি ব্যবস্থা না নেন আমাকে জানান। আমি প্রয়োজনে ওসিকে সরিয়ে দেবো।”
তবে প্রশাসনের ভূমিকা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, “উনি তো অনেকদিন ধরেই এসব বলছেন। বাজি বিস্ফোরণ কি এই প্রথম হল? বাজি কারখানায়ও বিস্ফোরণ হয়, আর জেলায় জেলায় বোমা বিস্ফোরণও হয়। উনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পরই পিংলায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। আমি নিজে গিয়েছিলাম। সে কী ভয়াবহতা, না দেখলে বোঝা যাবে না। আর উনিও প্রতিবারই একই কথা বলেন।”