Suprakash Giri on Suvendu: ‘শুভেন্দুবাবুর যাঁরা চুল দাড়ি কাটেন, তাঁরাও প্রাইমারির টিচার’, পাল্টা ‘বিস্ফোরণ’ সুপ্রকাশ গিরির

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 21, 2022 | 1:46 PM

Suvendu Adhikari: যদিও এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ভাই বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, এসব বাজে কথা ছাড়া কিছুই নয়।

Suprakash Giri on Suvendu: শুভেন্দুবাবুর যাঁরা চুল দাড়ি কাটেন, তাঁরাও প্রাইমারির টিচার, পাল্টা বিস্ফোরণ সুপ্রকাশ গিরির
সৌমেন্দু অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারী (বাঁদিকে)। সুপ্রকাশ গিরি।

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: সোমবারই বিধানসভা অধিবেশন থেকে বেরিয়ে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। নিয়োগ-দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তুলে আনেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরির নাম। শুভেন্দুর অভিযোগ, তৃণমূল বিভিন্ন জায়গায় টাকা তুলেছে এক একজনকে দিয়ে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে অখিল-পুত্রের। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের এই বক্তব্য ঘিরে যখন রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়, পাল্টা মুখ খোলেন সুপ্রকাশ গিরিও। আরও বিস্ফোরক সুপ্রকাশ। তিনি দাবি করেন, পুরসভায় বসে ৩৯০০ চাকরি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী এবং তা টাকার বিনিময়ে। সুপ্রকাশের দাবি, বিরোধী দলনেতার গাড়ির চালক থেকে শুরু করে যিনি চুল কেটে দেন তিনিও সরকারি চাকরি করেন। অন্যকে কাঠগড়ায় তোলার আগে তাঁর নিজের দিকে নজর দেওয়া উচিৎ বলে দাবি করেন সুপ্রকাশ গিরি।

সুপ্রকাশ গিরির বক্তব্য, “এতদিন তো উনিই (শুভেন্দু অধিকারী) দায়িত্বে ছিলেন এই জেলার। ওনার নিয়ন্ত্রণেই আমাদের দলের সমস্ত কাজ চলত। সকলেই তা জানেন। আমার পরিবারে আমার দাদা, ভাইরা এখনও রোজ হিসাবে কাজ করেন। আর শুভেন্দুবাবুর যাঁরা চুল দাড়ি কাটেন তাঁরাও প্রাইমারি টিচার, যাঁরা গাড়ি চালাতেন তাঁর, তাঁদের পরিবারেও প্রাইমারি টিচার। যাঁরা তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদেরও সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। কাঁথি শহরের একটি নামী ক্লাব আছে। সেখানকার বহু ছেলে শুভেন্দু অধিকারীর সময় সরকারি চাকরি পেয়েছেন।”

একইসঙ্গে সুপ্রকাশ দাবি করেন, যে তিনটি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, তিনটিতেই দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগ। সুপ্রকাশের কথায়, “লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হত। শুভেন্দু অধিকারী অন্য কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, এটা তাঁকে মানায় না। চোর অন্যকে চোর চোর বলে নিজের গা ঢাকার চেষ্টা করছেন। শুভেন্দু অধিকারী কোলাঘাটের ছাই বিক্রি করে তোলা তুলেছিলেন। ২০১২ সালে কাঁথি পুরসভায় বসে, ৩৯০০ লোকের যে চাকরি হয়েছে তার তদন্ত হোক। শুভেন্দু অধিকারী যে বলছেন, ‘আমরা প্রাথমিকের টাকা তুলেছি’, একটা নাম প্রকাশ করুন না, যিনি টাকা দিয়েছেন, তার বদলে চাকরি দিয়েছি। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, উনি কী করেছেন।”

যদিও এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ভাই বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, “কাঁথি পুরসভায় ৩৯০০ চাকরি? কোন দেশের গাঁজা খাচ্ছেন সেটা জানার ব্যবস্থা করতে হবে। উন্নতমানের গাঁজা খাচ্ছেন। রাঁচীতে পাঠিয়ে ওনাকে চিকিৎসা করানো দরকার। কে চাকরি পেয়েছে, কী বৃত্তান্ত তদন্ত করুক না। সিবিআইয়ের কাছে জানাক না।”

Next Article