তমলুক: সদ্যজাতের জন্মের পরেই দিতে হবে টাকা। ‘অলিখিত নিয়ম’ এর যাঁতাকলে পড়ে চাপে রোগীর পরিজনেরা। গুরুতর অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নবজাতকদের জন্ম হলেই সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়দের দিতে হয় মোটা টাকা, এমনই দাবি রোগীর পরিবারের সদস্যদের। এদিকে বিগত এক বছরে কার্যত আমূল পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে এই হাসপাতালের। তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে হয়েছে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ। তৈরি হয়েছে আগের থেকে আরও উন্নত পরিকাঠামো। কিন্তু, তারমধ্যে এই অভিযোগ ওঠায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ, নবজাতকের জন্মের পর তাকে যখন অপারেশন থিয়েটার থেকে নিয়ে আসা হয় বেডে তখনই ঘটে এক অদ্ভুত কাণ্ড। মোটা টাকা দাবি করে ওয়ার্ড বয়রা। চলতে থাকে জুলুমবাজি। কখনও চাওয়া হচ্ছে ১ হাজার টাকা, কখনও আবার ২ হাজার টাকা। পরিবারের সামর্থ দেখে বাড়তে থাকে টাকার অঙ্ক। তবে ছাড় দেওয়া হয় না দুঃস্থ পরিবারগুলিকেও।
রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, প্রথমে খুশি হয়ে দিতে বললেও পরে তা জোর জুলুম এ গিয়ে ঠেকে। আর যে জায়গায় এই দরাদরি হয় তা অন্তত সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। এ কাজ কিন্তু অজানা নয় হাসপাতালের প্রধানের। মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল শর্মিলা মল্লিক জানাচ্ছেন, শুনেছেন এ ধরনের ঘটনার কথা। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু রোগীর পরিজনদের একটাই প্রশ্ন, কতদিন চলবে এই মগের মুল্লুক?