পূর্ব মেদিনীপুর: এ পুরসভা সেই কোন কাল থেকে অধিকারীদের ছিল। তবে একুশের রাজনীতির হাওয়ায় ধীরে ধীরে পটবদলের আবহ তৈরি হয়। ২০২২ সালের পুরভোটে কাঁথি পুরসভা জিতে তৃণমূল চেয়ারম্যান হিসাবে চেয়ারে বসায় সুবল মান্নাকে। দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী সুবল। তবে সম্প্রতি শিশির অধিকারীকে ‘গুরুদেব’ বলে পা ছুঁয়ে প্রণাম করে সেই পদ খুইয়েছেন তিনি। এবার তাহলে কে বসতে চলেছেন এই আসনে? এ নিয়ে নানা নাম ঘোরাফেরা করছে।
একুশের বিধানসভা পরবর্তী পরিস্থিতিতে কাঁথির শান্তিকুঞ্জ ও কালীঘাটের দূরত্ব বাড়ে বিস্তর। ব্যাপক জলঘোলাও হয়েছে তা নিয়ে। এরই মধ্যে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে অধিকারীদের খাস তালুকে কাঁথি পুরসভার নির্বাচন হয়। মোট ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টি পায় তৃণমূল, বিজেপি ৩টি আসন পায়। নির্দলের ঝুলিতে যায় ১টি। বর্ষীয়ান সুবল মান্নার নাম আসে রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকেই। তবে তার সেই পদের মেয়াদ হয় ২২ মাস ৭ দিন।
নতুন কে কাঁথি পুরসভার চেয়ারে বসতে চলেছেন, তা নিয়ে নানা নাম ঘুরপাক খাচ্ছে। সূত্রের খবর, স্থায়ী পুরপ্রধান বাছতে পুরসভার ২১ জন কাউন্সিলরের কাছেই চিঠি গিয়েছে। এমনও সূত্রের দাবি, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মুখবন্ধ খামে আসতে চলেছে চেয়ারম্যানের নাম। তবে জল্পনায় এগিয়ে সুপ্রকাশ গিরির নাম। তিনি এই মুহূর্তে কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান।
জল্পনায় আছে বিরোধী দলনেতার ওয়ার্ডে জয়ী ও মাত দেওয়া কাউন্সিলর তনুশ্রী চক্রবর্তী (ভট্টাচার্য), কাউন্সিলর ও শিক্ষক নিরঞ্জন মান্না, অতনু গিরির নামও। তবে সে যে নামই হোক, তা কিন্তু মুখবন্ধ খামেই বন্দি হয়ে আসবে।
যদিও শাসকের এই প্রস্তুতিকে কিছুটা কটাক্ষই করেছেন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “কাঁথির মানুষের অধিকার ভুলুণ্ঠিত। তার আবার চেয়ারম্যান বদল কী? একটা কোম্পানির কর্মচারী বদল হচ্ছে তাতে আমাদের কী? মানুষ দেখছে কীভাবে চলছে কাঁথি পুরসভা।” যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি পীযূশ পণ্ডা বলেন, “আগের চেয়ারম্যান সুবল মান্না অনাস্থাতেই অপসারণ হয়ে গিয়েছেন। রাজ্যের নির্দেশে পরবর্তী চেয়ারম্যান ঘোষণা হবে।”