দিঘা: বাঙালির পাতে পড়ছে না ইলিশ! বর্ষায় পর্যটকরা যখন দিঘা যাচ্ছেন ইলিশের লোভে, তখন বাজারে দেখা মিলছে না ইলিশের। ইলিশ কতটা পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন পূর্ব ভারতের সবথেকে বড় মৎস্য আরোহণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা। দিঘা মোহনার ‘ফিস অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স’ সংগঠনের কর্তারা এ বিষয়ে উগ্বিগ্ন। পূবালী হাওয়া আছে,ইলসেগুড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে, তাও কেন অধরা ইলিশ?
দিঘা মোহনা ফিস এন্ড ফিস ট্রেডার্স-এর সহ সভাপতি নবকুমার পয়ড়া জানিয়েছেন,
ইলিশের আমদানি এবার খুবই কম। তিনি জানান, অনুকূল আবহাওয়া থাকলে তবেই মোহনার দিকে ইলিশ আসে। এবার দুর্যোগের জেরে সেটা সম্ভব হচ্ছে না, পাশাপাশি মৎস্যজীবীরাও ঠিক মতো সমুদ্রে যেতে পারছেন না।
ব্যবসায়ীরা যেসব কারণের কথা বলছেন, সেগুলি হল- উত্তাল সমুদ্র, সমুদ্র দূষণ, ছোট ফাঁসের জাল ব্যবহার, ডিম্বাণু নিধন ও খোকা ইলিশ ধরে নেওয়ার প্রবণতা। এই সব কারণেই সমুদ্রের গভীরে ইলিশ বংশবিস্তার করতে পারছে না। এছাড়া নোনা ও মিঠে জলের মোহনায় দূষণ একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আমদানির অভাবে দিঘা সহ বাজারে ইলিশের দাম চড়া। দেড় কেজি ওজনের দাম প্রায় ২,২০০ টাকা। এক কেজি থেকে ১২০০ ওজনের মাছের দাম ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা। আর ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা।
মৎস্য ব্যবসায়ী রাজেশ রাউৎ জানিয়েছেন, প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টন ইলিশ ওঠার কথা। মিলছে মাত্র ২ টন। তিনি বলেন, “ডিম যদি মেরে দেওয়া হয় কীভাবে ইলিশ মিলবে। যে জাল ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে একেবারে ছোট ইলিশ মেরে দেওয়া হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ‘ব্যান পিরিয়ড’ নিয়ম মেনে পালন করা হয়, তাই মাছ বাড়ার সুযোগ পায়। ফলে রুপোলি ফসল বিদেশে পাঠিয়ে লাভবান হয় বাংলাদেশ। সেখানে পূর্ব মেদিনীপুরে সরকারি ‘ব্যান পিরিয়ড’ মানা হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ব্যবসায়ী থেকে মৎস্যজীবীরা তা সঠিক ভাবে পালন করছেন না বলে অভিযোগ।