AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Patna Hospital Case: পুরুলিয়ার জেল থেকে শেরু যোগাযোগ করে ‘কিং অব পটনার’ সঙ্গে, ১০ লক্ষের বিনিময়ে হয় চন্দন খুনের সওদা

Patna Hospital Case: শনিবার সকালে এই ঘটনায় আরও সংযোজন, তা হল কলকাতা অভিজাত এলাকার আবাসন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ অভিযুক্তকে।

Patna Hospital Case: পুরুলিয়ার জেল থেকে শেরু যোগাযোগ করে 'কিং অব পটনার' সঙ্গে, ১০ লক্ষের বিনিময়ে হয় চন্দন খুনের সওদা
হাসপাতালে ঢুকে খুনImage Credit: X
| Updated on: Jul 19, 2025 | 5:26 PM
Share

পটনা: পুরুলিয়ার জেলে বসেই তৈরি হয় গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রকে হত্যার ছক। সরসরি গ্রাম বাংলার ওই কেন্দ্রীয় জেল থেকে যোগাযোগ করা হয় ‘কিং অব পটনার’ ওরফে মূল অভিযুক্ত তৌসিফ রাজার সঙ্গে। ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তার হাতেই তুলে দেওয়া হয় চন্দনের সুপারি।

এরপরের ঘটনাটা ইতিমধ্যেই সকলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। মুখে কোনও মুখোশের বালাই নেই। বুক চিতিয়ে হাসপাতালে ঢুকে খুন করা হয় সেই মেডিক্যাল প্যারোলে থাকা গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রকে। শনিবার সকালে এই ঘটনায় আরও সংযোজন, তা হল কলকাতা অভিজাত এলাকার আবাসন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ অভিযুক্তকে।

কিন্তু চন্দনের সুপারি দিল কে? এই পাঁচ জন যে কলকাতার নিউটাউনে লুকিয়ে রয়েছে সেই কথাই জানাল কে? তৌসিফ রাজাকে আগেই ধরেছে পুলিশ। তবে সেই কি বাকিদের ঠিকানা তুলে দিল? সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিহার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বাহিনীর সদস্যরা পুরুলিয়ার সেন্ট্রাল জেলে এসে জেরা করেছে সেখানেই বন্দি থাকা ওঙ্কার সিং ওরফে শেরুকে। তার থেকেই মিলেছে এই পাঁচ অভিযুক্তের ঠিকানা। পুলিশের সন্দেহ চন্দনের সুপারিও এই শেরু দিয়েছিল।

এককালে চন্দন আর শেরু ছিল ‘ব্যবসায়ীক সঙ্গী’। খুন, নিগ্রহ, চুরি, ছিনতাই কুপথই ছিল তাদের রোজগারের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু পটনায় একটি গহনার দোকানে ডাকাতির পর চুরির জিনিসপত্র বাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্য়ে মনমালিন্য তৈরি হয়। সেই থেকে নিজের মতো যে যার পথ বেছে নেয়। তবে বেশিদিন নয়। পরবর্তীতে এই দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চন্দন পড়ে থাকে ভাগলপুরে। আর শেরুকে চুরি ঘটনায় হেফাজতে নেয় রাজ্য পুলিশ।

এবার সেই জেল থেকে মূল অভিযুক্ত তৌসিফের সঙ্গে যোগাযোগ করে শেরু। এই ‘কিং অব পটনার’ সঙ্গে শেরুর আলাপ হয়েছিল বেউর জেলে। পরবর্তীতে তৌসিফ জামিন পেলেও, শেরু বন্দিদশাই কাটায়। চন্দন মিশ্র খুনে সেই ‘পুরনো বন্ধুর’ সঙ্গেই যোগাযোগ করে শেরু। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী, চন্দন পটনার যে হাসপাতালে ভর্তি ছিল, সেখানেই একটি ফ্ল্য়াট ভাড়া করে আততায়ীরা। এরপরই ‘অভিযান’।