Airport at Purulia: পুরুলিয়ায় এবার নামবে বিমান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এয়ারস্ট্রিপই হবে রানওয়ে!

তপন হালদার | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jul 17, 2024 | 10:54 PM

Airport at Purulia: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জরুরি পরিস্থিতিতে বিমান ওঠানামা করার জন্য পুরুলিয়া মফঃস্বল থানার ছররায় এয়ারস্ট্রিপ তৈরি করেছিল ব্রিটিশরা। বর্তমানে সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।

Airport at Purulia: পুরুলিয়ায় এবার নামবে বিমান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এয়ারস্ট্রিপই হবে রানওয়ে!
পুরুলিয়া ছররায় এয়ারস্ট্রিপ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

পুরুলিয়া: অবশেষে স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে পুরুলিয়াবাসীর। পুরুলিয়া শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে ছররায় তৈরি হতে চলেছে বিমান বন্দর। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেল সেই প্রক্রিয়া। বুধবার থেকে শুরু হল তিনদিনের সার্ভে। সব খতিয়ে দেখার পর রিপোর্ট দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের কাছে। ইতিমধ্যেই জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন পুরো এলাকা।

জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জরুরি পরিস্থিতিতে বিমান ওঠানামা করার জন্য পুরুলিয়া মফঃস্বল থানার ছররায় এয়ারস্ট্রিপ তৈরি করেছিল ব্রিটিশরা। বর্তমানে সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। ব্রিটিশদের ফেলে যাওয়া সেই রানওয়ে অর্থাৎ এয়ারস্ট্রিপকে অত্যাধুনিক বিমান বন্দরে রূপান্তরিত করতে চলেছে রাজ্য সরকার।

বুধবার রাজ্য সরকারের পরিবহন দফতর, কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা রাইটস এবং ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা রানওয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন। খতিয়ে দেখলেন পরিত্যক্ত এয়ারস্ট্রিপের জমি কেমন, জমিটা পুরোটাই সরকারি কি না, মাটির অবস্থা কেমন। মানচিত্রও খতিয়ে দেখেন তাঁরা।

বিমানবন্দর তৈরির ডিপিআর তৈরি করে সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে। তারপরেই কাজ শুরু করবে রাইটস। কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিজিসিএ-র থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এরপর ওই বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা করতে পারবে।

পুরুলিয়ায় বিমানবন্দর তৈরি হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অগ্রগতি ঘটবে বলে মনে করছে জেলাবাসী। সূত্রের খবর, বিমানবন্দরটি হবে ১৭২২ মিটার দীর্ঘ ও ৩৫০ মিটার প্রস্থযুক্ত। সেখানে বিমানবন্দর তৈরি হলে যাতায়াতের সুবিধা যেমন বাড়বে, আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রেও উন্নতি হতে পারে বলে মত বিভিন্ন মহলের। দেশের নানা জায়গা থেকে পর্যটকরা পুরুলিয়ায় যান। বিমানবন্দর তৈরি হলে তাঁদেরও বিশেষ সুবিধা হবে।

এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার মানস গোস্বামী জানিয়েছেন, বেশিরভাগটাই সরকারি জমি। সেই জমিতে বিমানবন্দর তৈরি করতে কোনও অসুবিধা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সার্ভে করা হবে। এরপর সরকারকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। বুধবার থেকেই শুরু হল সেই সার্ভে। মাটিও পরীক্ষা করা হবে।

Next Article