Dilip Ghosh Controversy: ‘আমি ড্রাইভারকে বললাম গাড়ির সামনে এলে উপর দিয়ে চালিয়ে দাও’! নয়া বিতর্কে দিলীপ ঘোষ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 27, 2021 | 3:08 PM

Dilip Ghosh: একই সঙ্গে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠা প্রসঙ্গেও কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ তাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করেন।

Follow Us

পুরুলিয়া: বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত এক ভিডিয়ো ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। অভিযোগ বাঁকুড়ায় রাস্তায় আটকে কালো পতাকা দেখানো হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। পরে পুরুলিয়ায় এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের সরাতে কোথাও কোনও পুলিশ ছিল না রাস্তায়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর গাড়ির চালককে বলা আছে, রাস্তা আটকে কেউ বিক্ষোভ দেখালে চালক যেন বিক্ষোভকারীর উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দেন। এই ভিডিয়োর সত্যতা টিভি নাইন বাংলা যাচাই করেনি। তবে রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলেছেন, একজন সাংসদ আদৌ এমন নিদান দিতে পারেন? বাংলায় রাজনীতির এমন সংস্কৃতি আদৌ চলনসই কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা।

যে ভিডিয়োটি সামনে এসেছে সেখানে দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমাদের রাস্তা আটকানোর জন্য লোক সব দাঁড়িয়েছিল। কোনও পুলিশ, এসপি কাউকে খুঁজে পাওয়া গেল না। আমি আমার ড্রাইভারকে বললাম গাড়ির সামনে এলে উপর দিয়ে চালিয়ে দাও। ছবি করুক, দিলীপ ঘোষের সামনে এলে কী হয় দেখবে। আর সেই ভাবেই বেরিয়ে এলাম। আমি সেই ভিডিয়ো নিজে করেছি সামনে বসে। দেখে নেবেন আমার ফেসবুকে আছে সেটা। প্রায় জায়গায় এরকম হয়। তখন কিন্তু পুলিশকে পাওয়া যায় না।”

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এ নিয়ে নিন্দা করার তো ভাষা নেই। আর দিলীপ ঘোষ তো এমনিই অকথা কুকথা বলেন। এটা একদম নৃশংস, নিষ্ঠুর নিদান। ওই যে উত্তর প্রদেশের এক মন্ত্রীর ছেলে কৃষকদের উপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন, তা দেখেই উনি হয়ত অনুপ্রাণিত হয়েছেন। মানুষ বুঝুক, কী ধরনের নেতা বিজেপিতে আছেন। মানুষই এর প্রতিবাদ করুক। তা হলেই সঠিক কাজ হবে।”

সম্প্রতি সমাপ্ত হয়েছে পড়শি রাজ্য ত্রিপুরার পুরভোট। শাসকদল বিজেপি অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে দাবি করলেও লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী তৃণমূল ও সিপিএম। তৃণমূল প্রার্থীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আবার কোথাও সিপিএম ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজেপিকে। যদিও সেই সস্ত্রাসের জন্য বাংলার তৃণমূলকেই দায়ী করেন দিলীপবাবু।

এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার সভামঞ্চ থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা বাংলা থেকে বিজ্ঞানী, রাষ্ট্রপতি, খেলোয়াড়, গায়ক পাঠালেও তৃণমূল ত্রিপুরায় এই রাজ্য থেকে সমাজবিরোধীদের পাঠাচ্ছে। তাদের আদতে সেখানে গোলমাল পাকানোর জন্যই পাঠানো হচ্ছে।” এর পাশাপাশি তিনি ঘাসফুল সাংসদদের ‘দাগী’ বলেও কটাক্ষ করেন।

জাতীয় রাজনীতিতে ঘাসফুল শিবিরের প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার প্রচেষ্টাকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল বর্তমানে পুনর্বাসন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। দেশের রিটায়ার্ড ও টায়ার্ড নেতাদের পয়সা আর পদের লোভ দেখিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যে যে দল উঠে গিয়েছে সেই দলের নেতারা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। ত্রিপুরায় টাকা বা পদের লোভ দেখিয়েও কাউকে দলে টানতে পারেনি। টিকিট দিতে চেয়েও দলে পায়নি।”

আরও পড়ুন: Baisakhi Banerjee VS Ratna Chatterjee: শোভনের ওয়ার্ডে প্রার্থী রত্না, ওদিকে পর্ণশ্রীর বাড়ি ছাড়ার নোটিস পাঠালেন বৈশাখী

পুরুলিয়া: বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত এক ভিডিয়ো ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। অভিযোগ বাঁকুড়ায় রাস্তায় আটকে কালো পতাকা দেখানো হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। পরে পুরুলিয়ায় এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের সরাতে কোথাও কোনও পুলিশ ছিল না রাস্তায়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর গাড়ির চালককে বলা আছে, রাস্তা আটকে কেউ বিক্ষোভ দেখালে চালক যেন বিক্ষোভকারীর উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দেন। এই ভিডিয়োর সত্যতা টিভি নাইন বাংলা যাচাই করেনি। তবে রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলেছেন, একজন সাংসদ আদৌ এমন নিদান দিতে পারেন? বাংলায় রাজনীতির এমন সংস্কৃতি আদৌ চলনসই কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা।

যে ভিডিয়োটি সামনে এসেছে সেখানে দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমাদের রাস্তা আটকানোর জন্য লোক সব দাঁড়িয়েছিল। কোনও পুলিশ, এসপি কাউকে খুঁজে পাওয়া গেল না। আমি আমার ড্রাইভারকে বললাম গাড়ির সামনে এলে উপর দিয়ে চালিয়ে দাও। ছবি করুক, দিলীপ ঘোষের সামনে এলে কী হয় দেখবে। আর সেই ভাবেই বেরিয়ে এলাম। আমি সেই ভিডিয়ো নিজে করেছি সামনে বসে। দেখে নেবেন আমার ফেসবুকে আছে সেটা। প্রায় জায়গায় এরকম হয়। তখন কিন্তু পুলিশকে পাওয়া যায় না।”

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এ নিয়ে নিন্দা করার তো ভাষা নেই। আর দিলীপ ঘোষ তো এমনিই অকথা কুকথা বলেন। এটা একদম নৃশংস, নিষ্ঠুর নিদান। ওই যে উত্তর প্রদেশের এক মন্ত্রীর ছেলে কৃষকদের উপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন, তা দেখেই উনি হয়ত অনুপ্রাণিত হয়েছেন। মানুষ বুঝুক, কী ধরনের নেতা বিজেপিতে আছেন। মানুষই এর প্রতিবাদ করুক। তা হলেই সঠিক কাজ হবে।”

সম্প্রতি সমাপ্ত হয়েছে পড়শি রাজ্য ত্রিপুরার পুরভোট। শাসকদল বিজেপি অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে দাবি করলেও লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী তৃণমূল ও সিপিএম। তৃণমূল প্রার্থীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আবার কোথাও সিপিএম ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজেপিকে। যদিও সেই সস্ত্রাসের জন্য বাংলার তৃণমূলকেই দায়ী করেন দিলীপবাবু।

এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার সভামঞ্চ থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা বাংলা থেকে বিজ্ঞানী, রাষ্ট্রপতি, খেলোয়াড়, গায়ক পাঠালেও তৃণমূল ত্রিপুরায় এই রাজ্য থেকে সমাজবিরোধীদের পাঠাচ্ছে। তাদের আদতে সেখানে গোলমাল পাকানোর জন্যই পাঠানো হচ্ছে।” এর পাশাপাশি তিনি ঘাসফুল সাংসদদের ‘দাগী’ বলেও কটাক্ষ করেন।

জাতীয় রাজনীতিতে ঘাসফুল শিবিরের প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার প্রচেষ্টাকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল বর্তমানে পুনর্বাসন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। দেশের রিটায়ার্ড ও টায়ার্ড নেতাদের পয়সা আর পদের লোভ দেখিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যে যে দল উঠে গিয়েছে সেই দলের নেতারা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। ত্রিপুরায় টাকা বা পদের লোভ দেখিয়েও কাউকে দলে টানতে পারেনি। টিকিট দিতে চেয়েও দলে পায়নি।”

আরও পড়ুন: Baisakhi Banerjee VS Ratna Chatterjee: শোভনের ওয়ার্ডে প্রার্থী রত্না, ওদিকে পর্ণশ্রীর বাড়ি ছাড়ার নোটিস পাঠালেন বৈশাখী

Next Article