Padma Award: ‘বাবা যদি বেঁচে থাকতেন…’, পদ্মশ্রী নেপালচন্দ্রের মেয়ের একটা আক্ষেপ রয়েই গেল
Purulia: পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্যের প্রবাদ প্রতীম ওস্তাদ বলা হয় তাঁকে। ছৌ নৃত্যের প্রতি নেপালবাবুর এই অবদান অবশেষে স্বীকৃতি পেল। মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মান পেলেন তিনি। আর তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খুশি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শুধু আক্ষেপ একটাই, জীবনকালে এই স্বীকৃতি দেখে যেতে পারলেন না তিনি।
পুরুলিয়া: গত বছরের নভেম্বরেই প্রয়াত হয়েছেন। আর এবার সাধারণতন্ত্র দিবসে মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন পুরুলিয়া নেপালচন্দ্র সূত্রধর। পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্যের গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রয়েছে তাঁর। ছৌ নৃত্য তো বটেই, সঙ্গে ছৌ মুখোশ তৈরিতেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এক অসামান্য দক্ষতা। পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্যের প্রবাদ প্রতীম ওস্তাদ বলা হয় তাঁকে। ছৌ নৃত্যের প্রতি নেপালবাবুর এই অবদান অবশেষে স্বীকৃতি পেল। মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মান পেলেন তিনি। আর তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খুশি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শুধু আক্ষেপ একটাই, জীবনকালে এই স্বীকৃতি দেখে যেতে পারলেন না তিনি।
নেপালচন্দ্র সূত্রধরের কন্যা কল্যাণী সূত্রধরের মনে এক মিশ্র অনুভূতি। বাবার এই স্বীকৃতিতে একদিকে যেন আবেগাপ্লুত কল্যাণীদেবী, একইসঙ্গে নেপালবাবু আজ এই স্বীকৃতি দেখে যেতে পারলেন না, সেই আক্ষেপও রয়েছে মনের এক কোণায়। বললেন, ‘বাবার এই স্বীকৃতিতে আমার খুব খুশি আজ। বাবা যদি দু’মাস আগে মারা না যেতেন, তাহলে আরও বেশি খুশি লাগত। সেই ছোট থেকে দেখছি, বাবা মুখোশের কাজ করে আসছেন। বিদেশেও যেত তাঁর কাজ।’
কথাগুলো বলতে বলতে গলা কেঁপে উঠল কল্যাণী সূত্রধরের। বললেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেন তিনি। খুব খুশি লাগছে। কিন্তু আজ বাবা সামনে নেই। তাই কান্নাও পাচ্ছে।’ ছৌ নৃত্য ও ছৌ মুখোশ নিয়ে নেপাল সূত্রধর গোটা জীবন ধরে যে কাজ করে গিয়েছেন, সেই স্মৃতিগুলোই আঁকড়ে ধরে থাকতে চান তাঁর পরিবারের সদস্যরা।