Suicide : অনলাইন গেম খেলতে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার, শিশুকন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী ব্যক্তি, বরাত জোরে বাঁচলেন স্ত্রী

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 04, 2022 | 8:19 PM

Suicide: পুলিশ সূত্রে খবর, অনলাইন গেমের ফাঁদে পড়ে নিজের সমস্ত সঞ্চয় খুইয়ে ছিলেন অমর। বাজারে করে ফেলেছিলেন পাহাড়প্রমাণ ঋণ।

Suicide : অনলাইন গেম খেলতে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার, শিশুকন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী ব্যক্তি, বরাত জোরে বাঁচলেন স্ত্রী

Follow Us

আদ্রা: মোবাইলে আসক্তির (Mobile Addiction) জেরে শিকেয় উঠেছে পড়াশোনা। মা-বাবা বকতেই আত্মহত্যা (Suicide) পড়ুয়ার। সাম্প্রতিককালে বাংলার বুকে প্রায়শই দেখা গিয়েছে এই ছবি। এবার অনলাইনে গেমে (Online Game) মারাত্মক আসক্তির জেরে চরম পরিণতি হল আদ্রার এক রেল কর্মীর পরিবারের। সূত্রের খবর, গেম খেলতে গিয়ে বাজারে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ করে ফেলেছিলেন আদ্রার বাসিন্দা পেশায় রেল কর্মী অমরচন্দ্র মোদক (৩৫)। সূত্রে খবর, কাঁধে বড় ঋণের বোঝা থাকলেও তা শোধ করার কোনও উপায় জানা ছিল না অমরচন্দ্রের। যার জেরে বিগত কয়েকদিন ধরেই ভুগছিলেন অবসাদে। শেষ পর্যন্ত বেছে নিলেন চরম রাস্তা। করলেন আত্মহত্যা।  

তবে নিজে আত্মঘাতী হওয়ার আগে স্ত্রী জবা মোদককে (২৮) ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন অমরচন্দ্র। স্ত্রী ঘুমিয়ে গেলে ধরে নেন মারা গিয়েছেন। এরপর ৫ বছরের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। এরপর তিনি নিজে আত্মঘাতী হন। পরবর্তীতে ঘুম ভাঙছে চোখ কপালে ওঠে জবা দেবীর। স্বামীর কাণ্ড কারখানা দেখে থ হয়ে যান। শুরু করেন চিৎকার। ডেকে আনের প্রতিবেশীদের। খবর যায় পুলিশে। পুলিশই অসুস্থ অবস্থায় জবা দেবীকে আদ্রা রেল হাসাপাতালে ভর্তি করে। নেওয়া হয় জবানবন্দি। মৃতে মেয়ের পাশাপাশি ঘর থেকে অমরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। 

পুলিশ সূত্রে খবর, অনলাইন গেমের ফাঁদে পড়ে নিজের সমস্ত সঞ্চয় খুইয়ে ছিলেন। বাজারে করে ফেলেছিলেন পাহাড়প্রমাণ ঋণ। তাতেই বাজে বিপদ ঘণ্টা। পরিজনরা অমরচন্দ্রকে ধার মেটাতে সাহায্য করলেও তাতেও তিনি বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। দূর হয়নি গেমের নেশা। ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়ে চালিয়ে যেতে থাকেন খেলা। 

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের স্ত্রী জবা মোদক বলেন, “অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার করে ফেলেছিল। কী করে ধার শোধ করবে বুঝতে পারছিল না। তাতেই বিগত কয়েকদিন ধরে খুব চিন্তা করছিল। গেম খেলে ও আগে অনেক টাকা জিতেছিল। তারপর প্রচুর টাকা হেরে যায়। ওকে অনেক বুঝিয়েছি। ওর বোন, আমার বাবা দেনা মেটানোর জন্য অনেক সাহায্য করেছে। তারপরেও ঠিক হয়নি। গতরাতে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তখন কিছু বুঝতে পারিনি। আমাকে খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। এটা আমি পড়ে বুঝতে পারি। আমি ঘুমের মধ্যে থাকলে তখন বাচ্চাটাকে মেরে ফেলে।”

Next Article