Purulia Medical College: সরকারি হাসপাতালের শৌচালয়ে বাংলা মদের আসর, ক্যামেরা দেখেই বললেন, ‘ বেশি না এত টুকু খেয়েছি…’
Purulia Medical College: শুধু তাই নয়, হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে শৌচালয়ের পাশেই রয়েছে পুলিশ ক্য়াম্প। সেখানে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ সহ আটজন রয়েছেন। রোগীর পরিজনদের দাবি তাঁরা দেখেও কোনও কথা বলেন না।
পুরুলিয়া: হাসপাতাল কি মদের আসর বসানোর জায়গা? পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজজুড়ে উঠছে এহেন একাধিক প্রশ্ন। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের শৌচালয়ে চলে মদ্যপানের আসর। এই শৌচালয় পুরুষ-মহিলা সকলেই ব্যবহার করেন। সেখানেই যাঁরা দেখভালের দায়িত্বে তাঁরাই কি না বসিয়েছে বাংলার আসর? সব জানার পরও কোথায় পুলিশ? উঠছে প্রশ্ন। টিভি ৯ বাংলার ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়তেই এক স্বাস্থ্য কর্মী বললেন, “ভুল হয়ে গিয়েছে। আর খাব না।”
মূলত, আজ থেকে প্রায় দশ-বারো বছর আগে বেসরকারি একটি সংস্থা এই শৌচালয় তৈরি করে। তাঁরা যদিও সরাসরি যুক্ত নয় হাসপাতালের সঙ্গে। এই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের পাশেই রয়েছে শৌচালয়। মূলত, রোগীর পরিবার ও আত্মীয়রা এটা ব্যবহার করেন। পুরুষ ও মহিলা উভয়ই সেখানে যান। এবার সেই খানেই দেখা গেল মদের আসর বসিয়েছেন বেসরকারি সেই সংস্থার স্বাস্থ্য কর্মীরা। শৌচালয়ের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থার কর্মী নারায়ণ প্রামাণিক ও আরও এক হাসপাতালের ঠিকা সংস্থার কর্মী। যদিও তাঁরা দাবি করেন শৌচালায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নারায়ণ আবার বললেন, “ঠিক তো নয়। রোজ খাই না। দশ মাসে কখনও-কখনও। বেশি খাইনি। এত টুকু খেয়েছি।”
শুধু তাই নয়, হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে শৌচালয়ের পাশেই রয়েছে পুলিশ ক্য়াম্প। সেখানে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ সহ আটজন রয়েছেন। রোগীর পরিজনদের দাবি তাঁরা দেখেও কোনও কথা বলেন না।
হাসপাতালে আসা রুগীর আত্মীয় বলেন, “হাসপাতালের শৌচালয়ের মধ্যে মদের বসানো অন্যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশ প্রশাসন দেখা উচিত।” এই হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল সুপার ও ভাইস প্রিন্সিপাল সুকোমল বিষয়ী বলেন, “আমি বিষয়টি দেখেছি। থানায় এফআইআর করেছি। পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে।”