ঝালদা: রবিবার রাত্রিবেলা থেকে পুনরায় চর্চায় পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা। প্রবল গুঞ্জন ছড়ায় পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় যোগ দিচ্ছেন যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। তবে সেই জল্পনার অবসান। ‘ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে’ বলে জানালেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। তবে ঝালদা পুরসভার দখল নিতে দলত্যাগের চেষ্টা করেছিল তৃণমূল সেই কথাও স্বীকার করে নিলেন কংগ্রেস এই নেতা।
কৌস্তভ অভিযোগ করে বলেন, “ভুল বোঝাবুঝির জায়গা তৈরি করে ঝালদা পুরসভা তৃণমূল নিজেদের দখলে করতে চেয়েছিল। তবে যে ভুলভ্রান্তি হয়েছিল তা মিটে গিয়েছে। নেপালবাবু খবর পাওয়ার পরই যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছেন।” ভুল বোঝাবুঝিতে যে শাসকদলের ইন্ধন ছিল সে কথা তুলে ধরে কৌস্তভ বলেছেন, “ঝালদা পৌরসভা নিয়ে মামলা চলেছে। এখনও সেখানে চেয়ারম্যান হিসাবে রয়েছেন কংগ্রেসের শীলা চট্টোপাধ্যায়। হাইকোর্টের অর্ডার অনুযায়ী নভেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি চেয়ারম্যান রয়েছেন। সেই অর্ডার এখনও পর্যন্ত বলবৎ। তাই তৃণমূল একটি অসাধু প্রচেষ্টা করছে।”
গতকাল রাত্রিবেলা হঠাৎই কলকাতায় হাজির হন পৌরসভার পৌরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্বামী কালীপদ চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, ওঠে দলবদলের জন্যই তাঁদের কলকাতায় নিয়ে এসেছিল তৃণমূল। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। শহরের একটি গেস্ট হাউসে শীলাদেবী ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে দেখা করেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো ও কৌস্তভ বাগচী। ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করে ঝালদা পুরসভার দখল নিতে চেয়েছিল শাসকদল সেই অভিযোগ করেন আইনজীবী।
যদিও, শীলা চট্টোপাধ্যায় গতকালই নিজের সপক্ষে যুক্তি রেখে জানান,এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পারিবারিক কাজে কলকাতায় গিয়েছেন। তৃণমূলে যোগদানের জল্পনাও উড়িয়ে দেন তিনি।
অপরদিকে, জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন,”এরকম কোনও তথ্য আমার কাছে নেই। শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দেবেন এমন কিছু হয়নি। তবে যদি কেউ যোগ দিতে চান তবে তাঁকে দলে স্বাগত।”