পুরুলিয়া: পুরভোট ইস্তক বারবার ঝালদা পুরসভা শিরোনামে উঠে এসেছে। এবার সেই পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড গঠন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই পরিস্থিতিতে দল বদলুদের কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে উপপুরপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কংগ্রেসের পূর্ণিমা কান্দু। বৃহস্পতিবার পুরসভায় এসে নিজের পদত্যাগ পত্রে সই করেন পূর্ণিমা। এরপরই সেই চিঠি পাঠিয়ে দেন ঝালদা পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক ও মহকুমা শাসকের দফতরে।
ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি আসন। এই মুহূর্তে ১০টি তৃণমূলের, ২টি কংগ্রেসের। এরমধ্যে রয়েছেন পূর্ণিমা কান্দুও। এদিন ইস্তফা দিয়ে পূর্ণিমা জানান, পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলে চলে গিয়েছেন নির্দল-কংগ্রেস মিলিয়ে ৪ কাউন্সিলরও। তাই নতুন করে বোর্ড হবে। তার আগেই পুরনো বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ালেন পূর্ণিমা।
পূর্ণিমা কান্দু বলেন, “আমাদের বোর্ড তো এখন নেই। আমার আদর্শের কথা মাথায় রেখে উপপুরপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। আমাদের যখন বোর্ড হয়, আমরা চেয়ারপার্সন করেছিলাম শীলা চট্টোপাধ্যায়কে। উনিই উপপুরপ্রধান পদে আমার নাম মনোনীত করেন।” দলবদলু কাউন্সিলরদের সমালোচনার পাশাপাশি এদিন শীলা চট্টোপাধ্যায়কে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন পূর্ণিমা। বলেন, পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে আস্থা ভোটে লড়ে পুরপ্রধান হয়ে দেখান এবার।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ঝালদার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়-সহ চার কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। এরপরই কংগ্রেসের হাত থেকে ঝালদা দখলে নেয় তৃণমূল। ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুও তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। এরপরই দলত্যাগীদের বেইমান, বিশ্বাসঘাতক বলে তোপ দাগেন পূর্ণিমা। সেই পূর্ণিমা এবার সরে দাঁড়ালেন পদ থেকে।