পুরুলিয়া: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে (Councillor shot in Jhalda) কয়েক মাস আগেই ব্যাপক হিন্দোল উঠেছিল জেলার রাজনৈতিক মহলে। তারপরই এ ঘটনায় রাজ্য পুলিশের তরফে সিট গঠন করে তৈরি হয় জোরদার তদন্ত। গ্রেফতার করা হয় খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার অভিযুক্তকে। তবে তপন কান্দুর মৃত্যুর পর থেকেই সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এরমধ্যেই ৬ এপ্রিল তপন কান্দু (Tapan Kandu) খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এ ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। অবশেষে শুরু হল তপন কান্দু হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ।
সূত্রের খবর, প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের সময় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অভিযুক্তরা। সিবিআই আধিকারিকরা বিরুদ্ধে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছেন তাঁরা। প্রিজন ভ্যান থেকেই ‘সিবিআই হটাও বাংলা বাঁচাও’ ধ্বনি তুলতে দেখা যায় দীপক কান্দুকে। সূত্রের খবর, এদিন সাক্ষ্য দিতে জেলা আদালতে হাজির হন খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গরাই। একইসঙ্গে ৫ অভিযুক্তকে এদিন আদালতে তোলা হয়। তালিকায় রয়েছেন দীপক কান্দু, নরেন কান্দু, আশিক খান, কলেবর সিং ও সত্যবান পরামানিক। এর আগে বিগত ১৩ জুন পুরুলিয়া জেলা আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই।
তবে কংগ্রেসেরে বিরুদ্ধে ফের চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন অভিযুক্ত দীপক কান্দু। তাঁর দাবি তিনি তৃণমূল করেন বলেই তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, “তৃণমুল দল করি বলে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। সিবিআই আমাদের উপর নানারকম চাপ সৃষ্টি করছে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই আমাদের গ্রেফতার করেছে। আমরা নির্দোষ।” একইসঙ্গে শেষ পর্যন্ত মামলার শুনানি শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।