পুরুলিয়া: ২০১৫ সাল থেকে বিজেপিতে আছেন। দল ছাড়ার কথা চক্রান্ত করে রটানো হচ্ছে। এতে যুক্ত রয়েছে বিজেপিরই কিছু লোক। যারা বাস্তবে তৃণমূলের এজেন্ট। সাংগঠনিক কর্মসূচিতে পুরুলিয়ায় এসে এমনই দাবিক করলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পুরুলিয়া শহরের শ্যাম ধর্মশালায় দলের একটি কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। এখানে আগামী ১১ জুন বলরামপুরে বিজেপি সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তি নিয়ে একটি বিশেষ কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের কাছে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “ওঁ বিজেপিকে রাজ্য ছাড়ার কথা বললেও মানুষ বিজেপির পাশে রয়েছে। তৃণমূলের সময়ে চূড়ান্ত দুর্নীতির বিপক্ষেই মত প্রকাশ করবে সাধারণ মানুষ।” এরপরই সাংবাদিকরা তাঁর তৃণমূলে যাওয়ার জল্পনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন। তিনি উত্তরে বলেন, “গত এক বছর ধরেই এ ধরনের কথা রটানো হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। লক্ষ্য হল বিজেপি কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়া। এতে কোন লাভ হবে না।”
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী এবং রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য লকেট চট্টোপাধ্যায় ২০১৫ সালে ৬ জুন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। । রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অঞ্জনা বসু, দেবিকা মুখোপাধ্যায়-সহ টলি এবং টেলিউডের এক ঝাঁক তারকা সে সময়ে বিজেপিতে যোগ দেন। লকেটকে সে সময়ে বলতে শোনা গিয়েছিল, “তৃণমূলের ওপর আস্থা উঠে গিয়েছে।” সম্প্রতি বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিং। তারপরই তৃণমূলের তরফে বিজেপি থেকে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের একটা তালিকার কথা বলা হচ্ছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়েরও। কিন্তু এই জল্পনায় জল ঢাললেন লকেট। তার বক্তব্য, এ সব রটানো হচ্ছে।
পাশাপাশি তপন কান্দু হত্যা মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বজায় রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই আগে সিবিআই তদন্ত চাইতেন। এখন আসল সত্য যাতে বেরিয়ে না আসে, ধামাচাপা দেওয়া যায় তার জন্য সিবিআই -এর বিরোধিতা করছেন।”
মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিদায় নিয়ে যে বার্তা এখান থেকে দিয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে, বিজেপি সংসদ বলেন, মানুষ তৃণমূল চূড়ান্ত দুর্নীতি, সিন্ডিকেট রাজ নিয়ে বীতশ্রদ্ধ। তারা আগামী দিনেও নরেন্দ্র মোদীর পাশেই থাকবেন।