Leopard Panic: চিতাবাঘের আতঙ্কে বুক ঢিপঢিপ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের! পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেই শোনাল ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা

Anirban Banerjee | Edited By: Soumya Saha

Feb 03, 2024 | 11:05 AM

Purulia: এই এলাকা সংলগ্ন জঙ্গলে চিতাবাঘের আতঙ্ক রয়েছে। সেই জঙ্গল লাগোয়া পথ দিয়ে একপ্রকার অরক্ষিত অবস্থাতেই পরীক্ষার্থীদের যেতে হল মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রে। সিমনি গ্রামের এই এলাকার পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমিকের সিট পড়েছে আদারডি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

Leopard Panic: চিতাবাঘের আতঙ্কে বুক ঢিপঢিপ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের! পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেই শোনাল ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা
সিমনি গ্রামের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

পুরুলিয়া: মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। আজ দ্বিতীয় দিন। দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা দিতে কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে যেতে হল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার অন্তর্গত সিমনি এলাকা। এই এলাকা সংলগ্ন জঙ্গলে চিতাবাঘের আতঙ্ক রয়েছে। সেই জঙ্গল লাগোয়া পথ দিয়ে একপ্রকার অরক্ষিত অবস্থাতেই পরীক্ষার্থীদের যেতে হল মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রে। সিমনি গ্রামের এই এলাকার পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমিকের সিট পড়েছে আদারডি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। কেউ সাইকেলে চেপে, কেউ আবার অন্যের বাইকে চেপে জঙ্গল লাগোয়া পথ ধরে চিতাবাঘ, হাতির আতঙ্ক বুকে নিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছলেন পরীক্ষাকেন্দ্রে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের তরফ থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। তাঁদের বক্তব্য, প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল, বাস দেওয়া হবে। কিন্তু সেই গাড়ি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা বলছেন, ‘গতকালও আমরা বাসের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু বাস না আসায় আমরা নিজেদের নিজেদের সাইকেলে চেপে এসেছি। খুব ভয় লাগছে। আসার পথে রাস্তার ধারে জঙ্গল পড়ে। বাঘের ভয় লাগছিল খুব।’

সিমনি গ্রামের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের এই ক্ষোভের বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল পুরুলিয়া বন বিভাগের ডিএফও কার্তিকায়েন এমের সঙ্গে। তিনিও জানাচ্ছেন, কিছু কিছু জায়গায় গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সিমনি এলাকায় আপাতত আতঙ্কের কোনও পরিবেশ নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। বললেন, ‘লেপার্ড মুভমেন্ট তিন দিন আগে দেখা গিয়েছিল। আপাতত আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। এখন সেখানে আর কোনও লেপার্ড মুভমেন্ট নেই। যদি মনে হয় দরকার আছে, সেই সময় গাড়ি দেওয়া হবে। তাছাড়া, যেদিক থেকে স্কুলে যেতে হয়, সেই পথে কোনও সমস্যার কারণ নেই।’

Next Article