পুরুলিয়া: অবশেষে পুরুলিয়া জেলা আদালতের (Purulia District Court) নির্দেশে ঝালদা পৌরসভার (Jhalda Municipality) তৃণমূলের চার কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিল ঝালদা থানা। গত ১৬ জানুয়ারি ঝালদা পৌরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচনের ভোটে ব্যালট পেপার নিয়ে চলে যায় তৃণমূলের চার কাউন্সিলার। সেদিনই থানাতে লিখিত অভিযোগ জানান কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল। ঝালদা পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। আদালতের নির্দেশেই তৃণমূলের চার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ঝালদা পুলিশ। যে চার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা হলেন সুদীপ কর্মকার, রিজওয়ানা খাতুন, পূর্ণিমা বাগ ও জবা মাছুয়ার।
দীর্ঘদিনের জটিলতা কাটিয়ে জানুয়ারি মাসে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন হয় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। ১২ আসনের ঝালদা পুরসভার নতুন কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। ৬ কংগ্রেস কাউন্সিলর ও এক নির্দল কাউন্সিলর সহ মোট ৭ জন তাঁকে সমর্থন করেছেন। সেই নির্বাচনে অবশ্য তৃণমূলের পাঁচ কাউন্সিলর অংশ নেননি। আর ওইদিনের চেয়ারম্যান নির্বাচনেরই ব্যালট পেপার নিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে চার তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।
এপ্রসঙ্গে ঝালদা পুরসভার কংগ্রেসের দলনেতা বিপ্লব কয়াল বলেন, ‘গত ১৬ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ঝালদা পুরসভায় নতুন পুরপ্রধান নিয়োগের নির্বাচন হয়। এতে তৃণমূল অংশ গ্রহণ করলেও তাদের চার কাউন্সিলার সুদীপ কর্মকার, পূর্ণিমা বাগদি, রিজোয়ানা খাতুন এবং জবা মাছুয়ার নিয়ম না মেনে ব্যালট নিয়ে বাইরে চলে আসেন।’
সেই তলবী সভায় তিনি নিজেই সভাপতি ছিলেন জানিয়ে বিপ্লব বলেন, ‘এই কাজটি সম্পূর্ণ বে আইনি হওয়ায় তিনি এনিয়ে মহকুমা শাসক সহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের জানান। কোন কাজ না হওয়ায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়া জেলা আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করেন তারা। এরপর ব্যবস্থা নেবার জন্য নির্দেশ যায় আদালতের তরফ থেকে।’ এপ্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া শুধু বলেন, বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে এই বিষয়ে তিনি মন্তব্য করবেন ।