AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Coronavirus: করোনায় বাবা-মা হারানো শিশুদের মাসিক ২ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের করল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন

Death in Coronavirus: বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারতে আর একটি পরিবারও নেই, যাঁরা করোনায় তাঁদের কোনও পরিচিত অথবা কাছের মানুষকে হারাননি। এই মারণ ভাইরাসে অনাথ হয়েছে বহু শিশু। অভিভাবক যেমন খুইয়েছে তারা, তেমনি ক্ষুন্নিবৃত্তি কীভাবে হবে, সেই চিন্তায় বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই শিশুদের কাছে।

Coronavirus: করোনায় বাবা-মা হারানো শিশুদের মাসিক ২ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের করল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন
শিসুদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে কিট। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 9:38 PM
Share

পুরুলিয়া: করোনাভাইরাস (Coronavirus)। সারা বিশ্বে গত এক বছর ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটি মারণ ভাইরাস। যার কোপে প্রাণ গিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারতে আর একটি পরিবারও নেই, যাঁরা করোনায় তাঁদের কোনও পরিচিত অথবা কাছের মানুষকে হারাননি। এই মারণ ভাইরাসে অনাথ হয়েছে বহু শিশু। অভিভাবক যেমন খুইয়েছে তারা, তেমনি ক্ষুন্নিবৃত্তি কীভাবে হবে, সেই চিন্তায় বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই শিশুদের কাছে। এই প্রেক্ষিতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। করোনায় বাবা-মাকে হারানো শিশুদের প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করল তারা। মহালয়ার দিন হল সেই উদ্যোগের সূচনা।

দেবী পক্ষের সূচনায় কোভিডে বাবা-মা হারা শিশুদের জন্য মাসিক দু’হাজার টাকা করে সহায়তার ব্যবস্থা করল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। মহালয়ার দিনে পুরুলিয়া রবীন্দ্র ভবনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় “শৈশব সেই সব” নামে একটি বিশেষ কর্মসূচির। গত দেড় বছরে কোভিডের কারণে পুরুলিয়া জেলায় এবং জেলার বাইরেও মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। বহু শিশু হারিয়েছে তাদের পিতামাতাকে। তাদের জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন।

এদিন রবীন্দ্র ভবনে এমনই ৫২ জন শিশু-কিশোরের হাতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ উপহার সমৃদ্ধ কিট। এতে রয়েছে তাদের জন্য নতুন জামাকাপড়। তেমনই রয়েছে আরও নানা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। এর সঙ্গে সঙ্গে এই শিশুদের জন্য মাসিক ২ হাজার টাকা করে বরাদ্দও করা হয় জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। আগামী দিনে অবশ্য এই ধরনের সুবিধা সব শিশুই পাবে বলে জানান তাঁরা।

এপ্রসঙ্গে পুরুলিয়ার জেলা শাসক রাহুল মজুমদার বলেন, আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত এই সহায়তা রাশি এই শিশুদের ব্যাঙ্কের খাতায় জমা হতে থাকবে। তাদের নিঃশুল্কে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থাও করা হবে। পুরুলিয়ার সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামী দিনে এই শিশুদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য পুরুলিয়া জেলা পরিষদের তরফ থেকেও নেওয়া হবে বিশেষ উদ্যোগ। এই সহায়তা এবং উপহার পেয়ে এদিন উচ্ছ্বসিত হন শিশুদের বর্তমান অভিভাবকরা। হাসি ফোটে কচিকাঁচা মুখগুলিতে।

আরও পড়ুন: Aadhar: ভ্যাকসিনের পর আধারের জন্য আঁধার রাত থেকে ভিড়! পুলিশের মারে হুলুস্থুল সেই নাগরাকাটা

প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, এই দুধের শিশুরা শৈশবে যা হারিয়েছে তার তো কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। তবে এটাও সত্যি, এই বয়সে তারা অনেকেই অনাথ হয়েছে। কারও কারও দায়িত্ব নিয়েছে কাকু-কাকিমা, জেঠু-জেঠিমারা। তার পরেও আর্থিক বাধা একটা থেকেই যায়। সেদিকে লক্ষ্য করেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: BJP: বিজেপির মিহিরের সঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতির সাক্ষাৎ, দিনহাটার ভোটের আগে শিবির বদল?