পুরুলিয়া: কুমারী নদীতে পরপর প্রথমে এক তরুণী ও পরে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। অবশেষে জানা গেল দ্বিতীয় জনের আসল পরিচয়। শনিবার দেহ চিহ্নিত করে নিয়ে ওই মহিলার বাড়ির লোকজন। তবে জানা গিয়েছে, তিনি মহিলা নন, বৃদ্ধার।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃতা মহিলার নাম উমারানি দে (৭৪)। তাঁর বাড়ি মানবাজার থানার পোদ্দার পাড়া এলাকায়। মৃতার ছেলে বক্তব্য অনুযায়ী, গত সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ উমাদেবী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কয়েক দিন আগে থেকেই তিনি তাঁর বাপের বাড়ি যাবেন বলে পারিবারের লোকজনকে বলেছিলেন।
এরপর পারিবারের সদস্যরা উমারানির কোনও খোঁজ না পেয়ে নিখোঁজ হওয়ার দিনই মানবাজার থানায় ডায়রি করেন। গত বৃহস্পতিবার মানবাজার থানা থেকে তাঁদের ডেকে পাঠিয়ে উদ্ধার হওয়া মহিলার (অর্থাৎ তারই মাকে) দেখানো হয় কিন্তূ তারা চিনতে পারেনি। তারপরেই টিভি ৯ বাংলার একটি প্রতিবেদনে খরিদুয়ারের ব্রিজের ওপর একটি চশমা দেখানো হয়। সেই খবর দেখেই প্রতিবারের লোকজন থানায় যোগাযোগ করেন। এরপর আজ পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গ থেকে দেহ সনাক্ত করেন দেহ নিয়ে যান।
মৃতার ছেলে পুর্ণেন্দু দে বলেন, “মৃতার ছেলে পুর্ণেন্দু দে বলেন, “আমার মামা টিভি ৯ বাংলার খবর দেখে সেটা হোয়াটস অ্যাপে ছবি পাঠান। দেখলাম চশমা ছিল ব্রিজের উপর। সন্দেহ হয়। স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করি। এরপর ঘরের মেয়েরা সেটা বুঝতে পারে। পরে দেহ সনাক্ত করি।”