পুরুলিয়া: অবশেষে ৬ দিন পর আবার পুরুলিয়া থেকে শুরু হল দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাস চলাচল। আজ পুরুলিয়া ডিপো থেকে মোট ১৪ টি রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। পুজোর মুখে বেশ কয়েকদিনের ভোগান্তির পর আবার সরকারি বাস পেয়ে খুশি যাত্রীরা। বিভিন্ন দাবি দাওয়ার ভিত্তিতে দক্ষিণ বঙ্গ পরিবহন সংস্থার অস্থায়ী ঠিকা কর্মীরা ধর্মঘট শুরু করেন। দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে আবার কাজ শুরু করলেন তাঁরা।
দক্ষিনবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাঁকুড়া ডিপোয় স্বাভাবিক হল বাস চলাচল। কাজে যোগ দিলেন আন্দোলন করতে থাকা অস্থায়ী কর্মীরা। তবে বাস চলাচল শুরু হওয়ার খবর না থাকায় বাসগুলিতে যাত্রী সংখ্যা বেশ কম।
অস্থায়ী কর্মীদের লাগাতার আন্দোলনে থমকে গিয়েছিল এসবিএসটিসি-র বাস পরিষেবা। যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। তার পরেই পরিবহণ মন্ত্রীর আশ্বাস, অস্থায়ী কর্মীরা মাসে ২৬ দিন যাতে কাজ পান, তা নিশ্চিত করা হবে। বিবেচনা করা হবে অন্য সব দাবিও।
যদিও তারপরও দ্বিতীয়তে কর্মবিরতি তোলেননি অস্থায়ী কর্মীরা। এর প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন অভিযোগ করেন, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা দলের কেউ নন। কারণ তাঁরা দলের গাইডলাইন মানছেন না। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বাংলায় বন্ধ, অবরোধের কালচারটা উঠে গিয়েছি। তৃণমূল এই নীতিতে বিশ্বাস করে না। আমাদের আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি ঋতব্রত বলেছেন, যাঁরা এটা করছেন, তাঁরা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে আমাদের ট্রেড ইউনিয়নের কেউ নন।”
যদিও তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি-র সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সরকারি বাস কর্মীদের ধর্মঘট নিয়ে পুজোর মুখে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার জন্য তৃণমূল সরকারকেই দায়ী করলেন তিনি। বলেন, “দলের নেতারাই অস্থায়ী কর্মীদের ঢুকিয়েছেন। এইসব লোকদের নিয়েই এরা ক্ষমতায় এসেছেন। আর রাস্তায় যোগ্য লোক বছরের পর বছর বসে আছে।”