ঝালদা: ২০২২ সালের মার্চ মাসে গুলিতে মৃত্যু হয় কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর। নবমীর রাতে আচমকা মৃত্যু তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর। শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর অচৈতন্য দেহ। নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাড়িতে সেই সময় কেউ ছিলেন না। তাঁর সন্তানরা ফিরে এসে দেখেন, মা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মৃত্যুর কারণ ঘিরে বাড়ছে রহস্য।
৪২ বছর বয়সী পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। তপন কান্দুর মৃত্যুর পর থেকে ঝালদা পুরসভায় অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। গত বছর পুরসভার উপ প্রধানের পদে ইস্তফা দেন পূর্ণিমা। পাঁচ পুরপ্রতিনিধি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। এরপরই পদত্যাগ করেন পূর্ণিমা।
শুক্রবার রাত প্রায় পৌনে ১১টা নাগাদ ঝালদা শহরের স্টেশন রোডের বাড়ি থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। ঝালদা ১ নম্বর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছন পুরুলিয়ার জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো সহ দলের একাধিক নেতা। ঝালদার আইসি পার্থসারথী ঘোষ সহ পুলিশের আরও কয়েকজন অধিকারিক ছিলেন সেখানে।
পূর্ণিমা ঝালদা শহরের ১২নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন। বেশ কয়েক মাস উপ পুরপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০২২সালের মার্চ মাসের বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে ঝালদা শহরের কাছে গোকুলনগরে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন তপন। সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। মামলা এখনও বিচারাধীন। তাঁর মৃত্যুর পর রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় হন পূর্ণিমা। এবার তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমার মৃত্যুতে বাড়ছে রহস্য।
কংগ্রেস জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো জানান, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে মৃত অবস্থায় তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ময়নাতদন্তের পর পরিষ্কার হবে মৃত্যুর কারণ কী।