Purulia: নেই মাথার উপর ছাদ, ১ বছর ধরে শৌচালয়েই থাকছেন বৃদ্ধা

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Apr 10, 2024 | 6:47 PM

Purulia: পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের ডুঁড়কু গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দ্রাডি গ্রামের বাসিন্দা মিথিলা মাহাতো। ৬৬ বছরের ওই বৃদ্ধা বাড়িতে একাই থাকেন। দুই মেয়ে রয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে মাটির বাড়িতে চলছিল একার সংসার।

Purulia: নেই মাথার উপর ছাদ, ১ বছর ধরে শৌচালয়েই থাকছেন বৃদ্ধা
শোরগোল প্রশাসনিক মহলে
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

তপন হালদার 

পুরুলিয়া: মাথার উপর যে এক চিলতে ছাউনি ছিল তা পড়েছিল প্রকৃতির রোষানলে। তুমুল বৃষ্টিতে মাটিতে মিশে গিয়েছে খড়ের চাল দেওয়া মাটির বাড়ি। ভরসা এখন শৌচালয়। অগত্যা সেখানেই দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন বৃদ্ধা। ৪ ফুট বাই ৩ ফুটের অপরিস্কার এক ফালি শৌচালয়ে কোনওরকমে করছেন দিন গুজরান। অভিযোগ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। একটা প্লাস্টিক দিয়ে দায় সেরেছে পঞ্চায়েত। বৃদ্ধার করুণ অবস্থার খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরুলিয়ার প্রশাসনিক মহলে। 

পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের ডুঁড়কু গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দ্রাডি গ্রামের বাসিন্দা মিথিলা মাহাতো। ৬৬ বছরের ওই বৃদ্ধা বাড়িতে একাই থাকেন। দুই মেয়ে রয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে মাটির বাড়িতে চলছিল একার সংসার। কিন্তু, বৃষ্টিতে সেই বাড়িও এখন মাটিতে মিশে গিয়েছে। মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই টুকু চলে যাওয়ার পর অসহায় ওই বৃদ্ধা পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু, পঞ্চায়েতের তরফে দেওয়া হয়েছে একটা প্লাস্টিক। শেষ পর্যন্ত কোনও উপায় না পেয়ে শৌচালয়ে আশ্রয় নেন তিনি। সেখানেই কাটছে দিন। প্রায় ১ বছর ধরে একই অবস্থায় আছেন তিনি। 

বৃদ্ধার অসহায়তা চিন্তা বাড়িয়েছে প্রতিবেশীদেরও। গ্রামের লোকজনের একটাই বক্তব্য, এর ওর বাড়িতে কাজ করে কোনওরকমে পেট চালান বৃদ্ধা। প্রশাসন একটু মানবিক হোক। মানবিক দিক থেকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে বৃদ্ধার পাশে দাঁড়াক। একটা মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করে দিক।

মিথিলা মাহাতোর বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে ডুঁড়কু গ্রাম পঞ্চায়েত। সেই পঞ্চায়েতের প্রধান চাঁদমনি করামুদি জানেনই না তার এলাকায় এক মহিলা শৌচালয়ে বসবাস করেন। আর পঞ্চায়েতের সচিব বাবু লাল মাহাতো বলছেন, মনে হয় প্লাস্টিক দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি আবার ঘটনার জন্য ঘুরিয়ে দায় চাপিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের ঘাড়েই। কটাক্ষবাণ শানিয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা বলেন, এভাবেই গরিব মানুষদের বঞ্চিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় আবাস যোজনার ঘর যারা পেয়েছে তাঁরা শাসকদলেরই ঘনিষ্ঠ লোকজন। আবাস যোজনাতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে দলের নেতাদের অট্টালিকা তৈরি হয়েছে। 

Next Article