পুরুলিয়া: সবে প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়েছে ট্রেন (Train)। এদিকে ট্রেন ছাড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে সন্তানকে ট্রেনে তুলে দিলেও উঠতে পারেননি দম্পতি। এদিকে বাবা-মাকে রেখেই ছুটতে শুরু করে ট্রেন। সেই দেখে তড়িঘড়ি ট্রেন থেকে নামতে যায় শিশু। অন্যদিকে ছেলে ধরতে ছুটে যান মা। কিন্তু, ট্রেন তখন চলমান। যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড় বিপদ। এই কাণ্ড দেখে তড়িতড়ি ট্রেনের সামনে ছুটে আসেন কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানরা। তাঁদের হাতে চলন্ত ট্রেনে থেকে নামতে গিয়েও প্রাণে বাঁচল শিশু। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়া স্টেশনে (Purulia Station)। গোটা ঘটনাই ধরা পড়েছে স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরায় (CCTV Camera)।
সূত্রের খবর, শুক্রবার বোকারো আসানসোল মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনে নিজেদের শিশু সন্তান নিয়ে চাপতে গিয়েছিলেন এক দম্পতি। পুরুলিয়া স্টেশনের ১ নং প্লাটফর্ম থেকে তখন ট্রেনটি ছাড়ছিল। এদিকে নিজেদের শিশু সন্তানকে ট্রেনে চাপিয়ে দিলেও ট্রেন ছেড়ে দেওয়ায় ওই দম্পতি আর ট্রেনে উঠতে পারেননি। শিশুটির মা চলন্ত অবস্থাতেই ট্রেনে চাপতে গিয়ে পড়ে যান। আরপিএফের জওয়ানরাই দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে টেনে বের করে আনেন। আরপিএফ জওয়ান এম পাল কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রাণে বাঁচান ওই মহিলাকে।
এদিকে এর মধ্যেই শিশুটিও চলন্ত ট্রেন থেকে নামার চেষ্টা করে। ঘটনা দেখে দেখে আর পি এফের কনস্টেবল কার্তিক প্রামাণিক চলন্ত ট্রেন থেকেই নিজের জীবন বাজি রেখে তাকে উদ্ধার করেন। চলন্ত ট্রেন থেকেই নিরাপদে শিশুটিকে নামান। যদিও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে কোনওভাবে ঘটনার খবর যায় চালকের কাছে। কয়েক মুহূর্ত পর থেমে যায় ট্রেন। ফের তিনজনে নিরাপদে ওঠেন ট্রেনে। তবে এই পরিবারকে বাঁচাতে গিয়ে যে ভাবে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন আরপিএফ জওয়ানরা তাতে কুর্নিশ জানাচ্ছেন নাগরিক মহলের একটা বড় অংশ। কিন্তু, ট্রেনে ওঠানামার ক্ষেত্রে লাগাতার সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর পরেও কেন আম-আদমির হুঁশ ফিরছে না সে প্রশ্নও উঠছে।