Purulia Municipality: আরও এক নিয়োগ ‘কেলেঙ্কারি’র অভিযোগ, কাজই বন্ধ করে দিলেন পুরসভার সাফাই কর্মীরা
Purulia News: মঙ্গলবার সকাল থেকেই এই আন্দোলন ঘিরে সরগরম পুরসভা চত্বর। এই আন্দোলনের জেরে সকাল থেকে সাফাইয়ের কাজও বন্ধ হয়ে রয়েছে।
পুরুলিয়া: নিয়োগ নিয়ে এবার উত্তাল পুরুলিয়া পুরসভা (Purulia Municipality)। যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের নিয়মিত বেতন না দিয়ে নতুন করে অস্থায়ী সাফাই কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। এই অভিযোগকে সামনে রেখে কর্মবিরতির ডাক দিল পুরুলিয়া পুরসভার সাফাই বিভাগের অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, ন্যূনতম বেতনও পান না তাঁরা। কেউ মাসে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পান, কারও মাসিক আয় সাড়ে ৪ হাজার টাকা। তাও নিয়মিত পান না বলেই দাবি তাঁদের। এরইমধ্যে নতুন করে সাফাই কর্মী নেওয়া হচ্ছে। নির্মল বাংলা মিশনে নতুন করে সাফাই বিভাগে লোক নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। প্রতি ওয়ার্ডে ৫ জন করে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিলেন পুরুলিয়া পুরসভার সাফাই বিভাগের অস্থায়ী কর্মীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই এই আন্দোলন ঘিরে সরগরম পুরসভা চত্বর। এই আন্দোলনের জেরে সকাল থেকে সাফাইয়ের কাজও বন্ধ হয়ে রয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, অন্যান্য বিভাগের কর্মীরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন। যদিও এ প্রসঙ্গে পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ২৭ জন নির্মল সাথী ও নির্মল বন্ধু নিয়োগ করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁরা জঞ্জাল সংগ্রহ করবেন। কোথাও কোনও বেনিয়মের প্রশ্নই নেই। কাউন্সিলদের বোর্ড মিটিংয়ে সর্বসম্মতসিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই নিয়োগ করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের তরফে স্মরজিৎ স্যামুয়েল বলেন, “প্রতি ওয়ার্ডে ৫ জন করে ২৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ আমাদের নিয়মিত বেতন নেই। আমরা বলেছিলাম, যখন বেতনই পাচ্ছি না, নতুন করে লোক নেওয়ার দরকার কী। এখান থেকে লোক নিলে তো ভাল হতো। সে কথা শোনা হল না। আমরাও বাইরে থেকে কোনও লোক নিয়োগ করতে দেব না। আমাদের এখান থেকেই লোক নিতে হবে। না হলে আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।”
যদিও পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালির বক্তব্য, “আমাদের কাজের যে গাইডলাইন, তাতে বলা হয়েছে বাসিন্দার সংখ্যা অনুযায়ী কোনও ওয়ার্ডে ২ জন, কোনও ওয়ার্ডে ১ জন করে ২৭ জন নির্মল সাথী নিয়োগ করতে হবে। সবথেকে বড় তাঁরা উচ্চমাধ্যমিক পাশ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা হলে এ কাজের যোগ্য। তাঁরাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে সবটা দেখবেন। ৮ ঘণ্টা ডিউটি ওনাদের। একইসঙ্গে ১৩৮ জন নির্মল বন্ধু নিয়োগ হচ্ছে। পরে বাড়বে। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম যাঁরা কর্মী আছেন, তাঁদের থেকেই নেব। তার জন্য সুপারভাইজারদের সঙ্গে বসা হয়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। তারপরই বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় ৫ জন করে কর্মী নেওয়া হবে। পুরনোরা নাম দিল না, সুপারভাইজাররা তো ব্যর্থ।”