পুরুলিয়া: পাই পাই করে ছুটছিল পিকআপ ভ্যান। পিছনে ছিল একটি চার চাকার গাড়িও। আগাম খবর ছিল পুলিশের কাছে। সেইমতো অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এরপরই দেখে পিকআপ ভ্যানের ভিতরে ভর্তি পেটি। তাতেই কুইন্টাল কুইন্টাল গাঁজা (Cannabis)। সেই গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পাচারের জন্য। মাঝপথে অভিযান চালায় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। রবিবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার ঝালদা এলাকা থেকে সাড়ে ৩০০ কিলোগ্রাম গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে তারা। ঝালদা গোলা সড়কপথে একটি পিক আপ ভ্যান ছাড়াও একই সঙ্গে থাকা আরেকটি চার চাকার গাড়ি থেকেও বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সূত্রের খবর ওড়িশার সম্বলপুর থেকে ঝালদা হয়ে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিল গাঁজা ভর্তি গাড়িটি। এই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসটিএফ সূত্রে খবর, মোট ৭৭ পেটি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ৩৬৫ কেজি গাঁজা ছিল তাতে। বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়ি দু’টির নম্বর প্লেটে ঝাড়খণ্ড লেখা। জানা গিয়েছে, ধৃতরা ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ এবং আসানসোলের বাসিন্দা।
এই পরিমাণ গাঁজা কোথায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, এর পিছনে কার কার হাত রয়েছে, সেই তথ্য জানতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মাদক চক্রের যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারতীয় মাদক বিরোধী আইনের ধারায় তদন্ত এগোবে বলে সূত্রের খবর।
কখনও বাক্সে, কখনও বস্তায়, কখনও আবার শাক কিংবা সবজি-ফলের মাঝে গাঁজা রেখে তা পাচারের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। গত মাসেই বাঁকুড়ায় সাড়ে তিন কুইন্টাল গাঁজা উদ্ধার করেছিল এসটিএফ। পিকআপ ভ্যানে গাঁজা নিয়ে ওড়িশা থেকে বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক ধরে ধানবাদ যাচ্ছিল। ওড়িশা থেকে প্রায় প্রায়ই বাঁকুড়া কিংবা আসানসোল হয়ে গাঁজা পাচারের অভিযোগ ওঠে। কার্যত এই রাস্তাকে ‘করিডর’ হিসাবে ব্যবহার করে পাচারকারীরা। তবে গত কয়েকদিনে পুলিশের একাধিক অভিযানে এই পাচার রোখা গিয়েছে।