Ashwini Vaishnaw: সেবককে সিকিমের প্রবেশপথ হিসাবে গড়ে তুলুন, রেলপথ নির্মাণকাজ পরিদর্শনে এসে নির্দেশ রেলমন্ত্রীর
সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত মোট ৪৪.৯৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে।
দার্জিলিং: রেলপথেই এবার সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে সিকিম (Sikkim)। নরেন্দ্র মোদী সরকারের উদ্যোগে সেবক-রংপো (Sevoke-Rangpo) রেললাইনের কাজ ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এবার সেই কাজ পরিদর্শনে গেলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। রবিবার তিনি সরাসরি সেবকে যান এবং সেখানে জংশন রেলস্টেশনের কাজের অগ্রগতি কতদূর হল, তা খতিয়ে দেখেন। সেবকের ওই জংশন স্টেশনকেই সিকিমের গেটওয়ে করার ব্যাপারেও আধিকারিকদের নির্দেশ দেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।
বর্তমানে সরাসরি সিকিম যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। ৩১এ জাতীয় সড়ক দিয়েই বাংলার সঙ্গে সিকিমের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু, বর্ষার সময় এই জাতীয় সড়কের বেহাল দশা হয়। ফলে পর্যটক থেকে স্থানীয়দের চরম সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই বাংলা-সিকিমের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সেবক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত রেললাইন বসানো হচ্ছে। বলা যায়, এই রেলপথের মাধ্যমে সরাসরি গ্যাংটকের সঙ্গে যেমন যোগাযোগ করা যাবে, তেমনই ভারত-চিন সীমান্ত নাথুলা পাস পৌঁছে যাওয়া যাবে। ফলে যে কোনও পরিস্থিতিতে সহজেই সেনাদের কাছে রসদ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। তাই এই কাজ দ্রুত শেষ করতে তৎপর নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আর সেজন্যই এদিন কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে যান খোদ রেলমন্ত্রী তথা তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
জানা গিয়েছে, মোট ৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দে সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত মোট ৪৪.৯৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে। যার মধ্যে ৩.৪৩ কিলোমিটার রেললাইন থাকছে সিকিমে এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে থাকছে ৪১.৬ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ রেলপথের মধ্যে মোট ১৪টি টানেল এবং ২১টি ব্রিজ থাকছে। মোট ৫টি স্টেশন থাকবে। যার মধ্যে জংশন স্টেশন হচ্ছে সেবক। বাকি স্টেশনগুলি হল- রিয়াং, তিস্তা, মেল্লি এবং শেষ স্টেশন রংপো। এর মধ্যে তিস্তা হল ভূ-গর্ভস্থ স্টেশন। এগুলির মধ্যে সেবক, রিয়াং, মেল্লি এবং রংপো স্টেশনের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এছাড়া ১৩টি ব্রিজও হয়ে গিয়েছে।