AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ramnagar: বাঙালিদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদেও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

Ramnagar: এর আগে কাঁথি সমবায় সমিতির নির্বাচনে অখিল গিরি ও উত্তম বারিকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায়, তাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় খোদ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

Ramnagar: বাঙালিদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদেও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
বাইক মিছিলে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2025 | 2:54 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলের কোন্দল চরমে। ফের রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি ও পটাশপুরের উত্তম বারিক গোষ্ঠীর মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব। রামনগরে তৃণমূলেরই এই দুই শিবির ভূমিপুত্র ও বহিরাগত সমান্তরাল দুটো ভাগে বিভক্ত। বাঙালিদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে দুই শিবিরের দুই মিছিল। একটি বাইক মিছিল হয় অখিল গিরি ও সুপ্রকাশদের নেতৃত্বে। অপর বাইক মিছিলের নেতৃত্ব দেন রামনগর ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি কৌশিক বারিক।

দলে নতুন-পুরনো  দ্বন্দ্ব যে রয়েছে, তা স্পষ্টই বললেন কৌশিক বারিক, উত্তম বারিক ঘনিষ্ঠ রামনগরের তৃণমূল নেতা সুশান্ত পাত্র। রাখঢাক না রেখেই বললেন, “আমরা যাঁরা এখানে বাইক র‌্যালি করলাম, সবাই তো আমরা পুরনো দিনের কর্মী। কিন্তু আরেকপক্ষ কি পুরনো দিনের কর্মী? তাঁরা কি আন্দোলন করেছেন, জেল খেটেছেন, ঘরছাড়া হয়েছেন? আমাদের এখানে কিন্তু সবাই পুরনো লোক। ”

অন্যদিকে,  যদিও বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “যেখানেই দেখবেন জোড়া ফুল। কোথাও কোনও পুরনো-নতুনের ব্যাপার নেই। দুটো কর্মসূচি দুটো ব্লকে আলাদা আলাদা করে হচ্ছে। অসুবিধার কোনও ব্যাপার নেই। দলের শ্রীবৃদ্ধি করাই আসল ব্যাপার। বাংলায় উন্নয়ন হচ্ছে, সেই উন্নয়নেরই ফল দেখা যাচ্ছে।”

এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তপন মাইতি বলেন, “হালে যে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে, সেখানেও লোক নিয়োগ নিয়ে যে অসাধু কারবার শুরু হয়েছে, তাতেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। আর এখন এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রাস্তায় নেমে পড়েছে। দুদিনে দুটো র‌্যালি দেখলাম। মারপিট দেখলাম।”

উল্লেখ্য, এর আগে কাঁথি সমবায় সমিতির নির্বাচনে অখিল গিরি ও উত্তম বারিকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায়, তাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় খোদ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির মাধ্যমে ফোনে দু’জনকেই সতর্ক করেছিলেন তিনি। আবারও প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব।