Bus in Bardhaman: সকাল থেকে বর্ধমানের একাধিক রুটে আচমকা উধাও বাস, স্ট্যান্ডেই দাঁড়িয়ে রইলেন যাত্রীরা
Bus Route: কাটোয়া থেকে বাঁকুড়া যাচ্ছিলেন সনৎ মাঝি। স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনিও। বলেন, “কাটোয়া থেকে বর্ধমান হয়ে বাঁকুড়া যাচ্ছিলাম। সেখানে আমার দিদির বাড়ি। এসে দেখি বাস কম চলছে। খুবই সমস্যায় পড়লাম। ১০টার সময় যে বাস ছাড়ার কথা ছিল সেটা সাড়ে ১১টা বারোটায় ছাড়ছে। ফলে সমস্যা তো হচ্ছেই।”

বর্ধমান: সকাল থেকেই উধাও বাস। স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েও বাসের দেখা পাচ্ছেন না নিত্যযাত্রীরা। ভোগান্তি চরমে। এদিন এই ছবিই দেখা গেল বর্ধমানের নানা প্রান্তে। কারণ খুঁজতেই দেখা গেল বড় সংখ্যায় বাস রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এদিনই বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় জনসভা রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে তৃণমূল সমর্থকদের যাওয়ার জন্যই রাস্তা থেকে বড় সংখ্যায় বাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। কারখানা এলাকা, খনি সংলগ্ন বসতির পাশাপাশি পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান লাগোয়া অঞ্চল থেকেও প্রচুর মানুষ যাচ্ছেন ওই সভাতে।
একাধিক রুটের বাস তুলে নেওয়ায় বর্ধমানের আলিশা বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেল চরম যাত্রী দুর্ভোগ। বাধ্য হয়ে দীর্ঘক্ষণ স্ট্যান্ডেই দাঁড়িয়ে রইলেন যাত্রীরা। অনেক জায়গাতেই ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল যাত্রীদের। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, এইভাবে বাস তুলে নেওয়ায় আচমকা সমস্যার মধ্যে পড়তে হল।
কাটোয়া থেকে বাঁকুড়া যাচ্ছিলেন সনৎ মাঝি। স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনিও। বলেন, “কাটোয়া থেকে বর্ধমান হয়ে বাঁকুড়া যাচ্ছিলাম। সেখানে আমার দিদির বাড়ি। এসে দেখি বাস কম চলছে। খুবই সমস্যায় পড়লাম। ১০টার সময় যে বাস ছাড়ার কথা ছিল সেটা সাড়ে ১১টা বারোটায় ছাড়ছে। ফলে সমস্যা তো হচ্ছেই।” আলিশা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আর এক যাত্রী ইমতিয়াজ মোল্লা বললেন, “বাস খুবই কম। দিদির মিটিংয়ের জন্য শুনলাম অনেক বাস তুলে নিয়েছে। এখন অল্প বাস বলে ভিড়ও বেশি হচ্ছে। অনেক রুটেরই বাস তুলে নেওয়া হয়েছে।”
স্ট্যান্ডের টাইম মাস্টার তুষাঢ় পাঁজা বলেন, “জনসভার জন্যই কিছু বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে একদম যে বাস চলছে না এমনটা নয়। যখনই এই ধরনের প্রোগ্রাম হয় তখনই কিছু কিছু বাস চলে যায়। তবে মানুষের খুব সমস্যা হচ্ছে এমনটা নয়। আগে যেখানে ২০ মিনিট পর পর পাওয়া যায় এখন হয়তো আধ ঘণ্টা বা চল্লিশ মিনিট পরপর বাস পাওয়া যাচ্ছে।”
