সুন্দরবন: একটানা লাগাতার বৃষ্টি। তিন দিন ধরে এই বৃষ্টির জেরে উত্তাল নদী-সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যাতে সমুদ্রে না যান। এ দিকে, টানা বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়ায় নদী ও সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে নামখানার নারায়ণগঞ্জের কাছে হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধে ধস নেমেছে। নতুন করে আরও বেশ কয়েকটি বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ দিকে, রবিবার সকাল থেকে সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে। রাস্তাঘাট একেবারেই শুনশান। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে সুন্দরবন পুলিশের ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল এবং নামখানা থানার পক্ষ থেকে পর্যটকদের পাশাপাশি উপকূলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার জন্য মাইকিং প্রচার চালানো হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের নদী ও সমুদ্রে নেমে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
সুন্দরবনের একাধিক জায়গা! যেমন পাথরপ্রতিমা,নামখানা,সাগর,ডায়মন্ড হারবারের একাধিক ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার এবং কাকদ্বীপ মহাকুমার নিচু এলাকাগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জল জমেছে ধান জমি এবং সবজির বাগানেও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুতের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেচ,বিদ্যুৎ,জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিক ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। গত দুদিনের দুর্যোগে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নামখানা ব্লক। ঝড়ের দাপটে একের পর এক কাঁচা বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ছাউনি উড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা বাড়ি এবং দোকান। “গত তিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। খুব ভয়ে আছি। আমাদের তো এই টুকুই সম্বল। ভোটের সময় সবাই আসে। তারপর আর কেউ আসে না। আর এলেও ঘুরে চলে যায়। বাঁধ ভেঙে যায়। বানভাসী হওয়ার জোগাড় আমাদের। আমরা চাই প্রশাসন একটু সাহায্য় করুক।”