বজবজ: সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি নতুন করে তোলপাড় হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়েক গ্রেফতারির পর শাসক দলকে কোনঠাসা করতে তৎপর বিরোধীরা। খোদ রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি কোনও বার্তা দেন কি না, সে দিকেই নজর ছিল। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালিতে একটি জল প্রকল্পের উদ্বোধনে এসে সে সব বিতর্কের কাছ ঘেঁষলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে এ দিন জল প্রকল্পের উদ্বোধনের পর তিনি বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা কোনও অনৈতিক কাজকে সমর্থন করে না।’
এ দিন অভিষেক বলেন, ‘চলার পথে কাজ করতে গিয়ে ভুল হতে পারে। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা কোনও অনৈতিক কাজকে সমর্থন করে না।’ দলের প্রথম সারির নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন। অন্যান্য নেতাদের দিকেও আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। এই অবস্থায় অভিষেকের এই মন্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মানুষের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দিলে জেলে ঢোকানোর পরামর্শও এ দিন শোনা গেল অভিষেকের বক্তব্যে। এ দিন তিনি বলেন, আপনাদের আর আমাদের মাঝখানে কেউ নেই। আমি আপনাদের অতন্দ্র প্রহরী। আমি আছি আপনারা নিশ্চিন্তে ঘুমোন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নেতাদের থেকে নিজেকে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আলাদা করে দেখানোর প্রয়াস ছিল অভিষেকের কথায়।
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে তাঁকে মন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত করা হয়। দলের একাধিক পদেও ছিলেন পার্থ। গ্রেফতার হওয়ার পর সরানো হয় সে সব পদ থেকেও। তৃণমূল নেতাদের মুখে বারবার শোনা যাচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন, তার জন্য তাঁরা লজ্জিত। ওই ঘটনার পর মন্ত্রিসভার রদবদলও হয়েছে। দুর্নীতির দাগ যাতে না থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই নতুন মন্ত্রিসভা সাজানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।