ডায়মন্ড হারবার: ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) হয়ে গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতাদের। জেলায় জেলায় এই দৃশ্য ধরা পড়েছে বিগত কিছুদিনে। আর তা নিয়ে খোঁচাও দিয়ে যাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। সংবাদমাধ্যমে সেই নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়েছে। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বললেন, ‘নিশ্চিতভাবে মানুষ ক্ষোভ উগরাবে। কেন উগরাবে না? মানুষ যাঁর থেকে আশা করে, তাকে ভোট দেয়। তৃণমূলের কাছে ক্ষোভ উগরাবে না তো কি বিজেপির কাছে উগরাবে?’
সেই সঙ্গে অভিষেকের আরও বক্তব্য, বিজেপি মানুষের কাছে যায় না। তারা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তাদের কাছে মানুষ ক্ষোভের কথা জানাবে কীভাবে? তাই, যে মানুষের কাছে যাবে, মানুষ তো তার সঙ্গেই কথা বলবে। তৃণমূল কংগ্রেস শিবির যে শুধু ভোটের সময় নয়, সারা বছরই মানুষের সঙ্গে থাকে, সেই কথাও এদিন বুঝিয়ে দেন অভিষেক। ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। আর তার পরের বছরেই অর্থাৎ ২০২২ সালেই যে তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে, সেই কথাও এদিন উঠে আসে অভিষেকের কথায়।
তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বললেন, ‘কেন মানুষের কাছে যাব না? মানুষের দ্বারা আমরা নির্বাচিত। মানুষের জন্য প্রতি পদে কাজ করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা দিল্লির বাবুদের কাছে মাথা নোয়াব না। আমরা বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের কাছে মাথা নীচু করব। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের কাছে মানুষ তাঁদের ক্ষোভের কথা, তাঁদের মতামত জানিয়েছে।’ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের উদ্দেশে অভিষেক বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, ‘আমি নিজেও দিদির সুরক্ষা কবচ করব। আমরা শুধু ভোটের সময়ে মানুষের কাছে আসি না। আমরা ভোটপাখি নই।’