কলকাতা : মগরাহাট জোড়া খুনের ঘটনায় রবিবার দুপুরেই অভিযুক্ত জানে আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দুপুরে টালিগঞ্জ এলাকা থেকে ঘটনার মূল অভিযুক্ত জানে আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় জানে আলমকে গ্রেফতার করা হয়। মূল অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করেন পুলিশ সুপার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত জানে আলমের কাছে একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক ছিল। সেই বন্দুক দিয়েই প্রথমে গুলি করে সে। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় কোপ মারে। অভিযুক্ত মৃতদেহগুলি এমন করে দিতে চেয়েছিল, যাতে সেগুলি আর শনাক্ত না করা যায়। কিন্তু সময়ের অভাবে জানে আলম তা করতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আশি হাজার টাকা মলয় মাখাল ও সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তীর থেকে নিয়েছিল জানে আলম। তার বিনিয়মে ইমারতি দ্রব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা দিচ্ছিল না জানে আলম। এমনকী টাকাও ফেরত দিচ্ছিল না বলে অভিযোগ। শনিবার সেই টাকা দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে নিজের লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে গুলি তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অনুমান। এরপর মৃতদেহগুলি কুচি কুচি করে কাঁটার চেষ্টা করে তা লোপাট করে দেওয়ার পরিকল্পনায় ছিল। মূল অভিযুক্ত জানে আলমের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা ও ৩৩ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার অভিযুক্ত জানে আলমকে আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের দাবি করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।