Maheshtala Murder Case: রাজমিস্ত্রি হিসাবে এক মাস কাজ করেছিলেন অভিযুক্ত, মহেশতলায় জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

পুলিশ জানিয়েছে, খুনে অভিযুক্ত আসাব পেশায় রাজমিস্ত্রি। মৃতদের বাড়িতেও মাস তিনেক আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করেছিলেন অভিযুক্ত। প্রায় এক মাস ধরে জিনজিরা বাজারের ওই বাড়িতে কাজ করেন অভিযুক্ত। তাই বাড়িতে কখন কে থাকে, কখন সে আসে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জানতেন বলে দাবি পুলিশের।

Maheshtala Murder Case: রাজমিস্ত্রি হিসাবে এক মাস কাজ করেছিলেন অভিযুক্ত, মহেশতলায় জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
পুলিশের হাতে গ্রেফতার মহেশতলা জোড়া খুনে অভিযুক্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2023 | 6:09 AM

মহেশতলা: মহেশতলার জিনজিরা বাজারে জোড়া খুনে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জোড়া খুনে অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনে অভিযুক্তের নাম আসাব শেখ ইউসুফ। পুলিশ জানিয়েছে, খুনে অভিযুক্ত আসাব পেশায় রাজমিস্ত্রি। মৃতদের বাড়িতেও মাস তিনেক আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করেছিলেন অভিযুক্ত। প্রায় এক মাস ধরে জিনজিরা বাজারের ওই বাড়িতে কাজ করেন অভিযুক্ত। তাই বাড়িতে কখন কে থাকে, কখন সে আসে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জানতেন বলে দাবি পুলিশের। বাড়ির গৃহকর্তা শেখর মণ্ডল দুপুরে বাড়িতে থাকতেন না। এবং দুপুর সাড়ে তিনটের পর গৃহশিক্ষক পড়াতেন আসতেন। এ কথা জানা ছিল অভিযুক্তের। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই অভিযুক্ত চুরি করতে এসেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু বাড়ি লোকেরা তা দেখে ফেলাতেই অভিযুক্ত মা-ছেলেকে খুন করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চুরির উদ্দেশে জিনজিরা বাজারের ওই বাড়িতে ২টো ২২ মিনিট নাগাদ এসেছিল অভিযুক্ত আসাব। বাড়ির কলিং বেল বাজালে তাঁকে দরজা খুলে দিয়েছিলেন মায়া মণ্ডল। এর পর উপরে উঠে এসে গল্পও করছিলেন আসাব। এর পরই বাড়িতে চুরির চেষ্টা চালায় সে। তা দেখে ফেলেছিলেন মায়া মণ্ডল। তখনই নিজের ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করে মায়া মণ্ডলকের মাথায় আঘাত করেন অভিযুক্ত। হাতুড়ির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মায়া। তা দেখতে পেয়েছিলেন মায়ার নাতি হিরণ মণ্ডল। গোটা ঘটনা দেখে হিরণ চিৎকার করলে প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁকেও আসাব খুন করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের পর রক্ত ধুয়ে নিজের পোশাক পরিবর্তন করে নেন আসাব। লুঙ্গি খুলে পরে নেন হাফপ্যান্ট। এর পর ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান অভিযুক্ত।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত জানতেন ওই বাড়ির সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সেই সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া থেকে বাঁচতে অভিযুক্ত মাথায় ছাতা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। ছাতা নিয়ে মুখ ঢেকে ওই রাস্তা দিয়ে পালিয়েছিলেন অভিযুক্ত। জোড়া খুনের অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত নামে মহেশতলা থানার পুলিশ। তারা ওই রাস্তার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফরতার করে। বিষ্ণুপুর থানার বাখরাহাট রোডের রসপুঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন জোড়া খুনে অভিযুক্ত। অভিযুক্তকে মহেশতলা থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। তখন অভিযুক্ত গোটা ঘটনা নিজের মুখে স্বীকার করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।