নামখানা : স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক (Extramarital affair) রয়েছে স্কুলের রাঁধুনির, এমনটাই অভিযোগ। স্কুলে এসেও ঠিকমতো কাজ করছেন না প্রধান শিক্ষক, ব্যস্ত থাকছেন মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) রাঁধুনির সঙ্গে। অভিযোগ এমনও। স্কুলে আসছেন নিজের খেয়াল-খুশি মতো, রাতও কাটাচ্ছেন স্কুলেই। এই অভিযোগেই ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রধান শিক্ষকের কার্যকলাপেই ধাক্কা খাচ্ছে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন। নষ্ট হচ্ছে স্কুলের পরিবেশ। এই অভিযোগ তুলেই এদিন কাকদ্বীপের (Kakdwip) নারায়ণপুর তৃতীয়ঘেরির বিজয় মহেশ্বরী প্রাইমারি স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিও জানানো হয়েছে। প্রতিবাদে সরব স্থানীয় বাসিন্দারাও। বিক্ষোভের জেরে এদিন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ওই স্কুলের পঠনপাঠন। বন্ধ হয়ে যায় মিড ডে মিল রান্নাও। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। যদিও সমস্ত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সবুজ মিদ্দা। বরং তাঁর পাল্টা দাবি, স্কুলের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এসব করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধারল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল তারই মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। বিধবা মায়ের পরকীয়ার কথা জেনে ফেলাতেই প্রাণ দিতে হয়েছে ওই কিশোরীকে, এমনটাই অভিযোগ ছিল তাঁর পরিবারের সদস্যদের। এবার প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে স্কুলের রাঁধুনির পরকীয়ার খবর সামনে আসতেই তা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসেন নামখানার স্কুল পরিদর্শক মৃণাল দাস। বৈঠকও করেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের সঙ্গে। সরকারি আধিকারিকের কাছে ফের একবার নিজেদের অভিযোগ জানান বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মৃণালবাবু বলেন,“আমি অভিভাবকদের অভিযোগ শুনেছি। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
স্কুলে রাত কাটানোর অভিযোগ
সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে এক অভিভাবক বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে রাঁধুনির সঙ্গে পরকীয়া চালিয়ে যাচ্ছেন হেড মাস্টার। স্কুলে রাতও কাটান উনি। স্কুলে বাচ্চাদের খাওয়া-দাওয়া, লেখাপড়ার প্রতি কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। একজন শিক্ষক হিসাবে যা কাজ করার কথা উনি সেগুলো কিছুই করেন না। সরকারি নিয়ম মেনে স্কুলে আসার পরিবর্তে নিজের ইচ্ছানুযায়ী স্কুলে আসেন, স্কুল থেকে যান। সারাদিন কখনও কখনও থেকে যান। রাঁধুনিকে নিয়েই যাতায়াত করেন।” তাঁদের আরও অভিযোগ, বিগত কয়েক বছর ধরে ঘটে চলেছে এই ঘটনা। এমনকী আগে একাধিকবার সাবধানও করা হয় ওই শিক্ষককে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “তারপরেও একই ঘটনা ঘটছে।” আর সে কারণেই অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।