ভাঙড়: আরাবুল-শওকত তরজায় তোলপাড় ভাঙড়। ঘাসফুলের দুই নেতা, একে অপরকে ছেড়ে কথা বলছেন না। কাটমানির টাকায় গরিবদের কম্বল বিতরণ করছেন বলে আরাবুলকে কটাক্ষ করেছিলেন শওকত মোল্লা। তাঁকে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে সরাসরি আক্রমণ আরাবুলের। ‘মুখোশধারী’, ‘তোলাবাজ’ বলে শওকত মোল্লাকে আক্রমণ করলেন আরাবুল। তৃণমূল যাতে ব্যবস্থা নেয়, সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে আক্রমণ করে আরাবুল বলছেন, “ওঁর ছেলে কনট্রাক্টর, “ওঁর বউ কনট্রাক্টর, আত্মীয়-স্বজন সবাই কনট্রাক্টর। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়। পুরো টাকাটাই উনি নিয়ে চলে আসেন। উনি নিজেও কনট্রাক্টর, ফ্যামিলিও কনট্রাক্টর। সে আবার ভাঙড়ের কী উন্নয়ন করবে।” শওকতকে ‘মুখোশধারী’ বলে কটাক্ষ কটাক্ষ করে আরাবুল বলেন, ‘এই তোলাবাজি তৃণমূল পছন্দ করে না।’
কটাক্ষের জবাবে আরাবুলকে ‘হরিদাস পাল’ বলে আক্রমণ করলেন শওকত মোল্লা। তিনি স্পষ্ট জানালেন আইনি পথেই আরাবুলের সঙ্গে লড়বেন তিনি। বিধায়ক বলেন, “লিগাল নোটিস পাঠিয়েছি। পাগলে কী বলল, তাতে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। আইনি নোটিসে সবকটি বিষয়ে উত্তর দিতে হবে আরাবুলকে। ফালতু লোকের দাম বাড়িয়ে লাভ নেই। উনি কে হরিদাস পাল!”
একসময় দাপটের সঙ্গে ভাঙড়ের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন আরাবুল ইসলাম। মাঝে জেলে থাকাকালীন রাজনৈতিক সমীকরণ বদলেছে ভাঙড়ে। বর্তমানে ভাঙড় অঞ্চলে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। তাঁর ওপর ভরসা করেই যে দল এগোচ্ছে, তা স্পষ্ট। এই আবহে আরাবুল জেল থেকে ফিরতেই তরজা শুরু। কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েত অফিসে জায়গা না পেয়ে অফিসের সামনে বসে কাজ চালাচ্ছিলেন আরাবুল। আর এবার শওকত মোল্লাকে সরাসরি তোলাবাজ বলে আক্রমণ।