Baruipur: ‘মানবিকতার খাতিরে’ই নাকি এসবে মদত দেওয়া হচ্ছিল! বারুইপুরে SP অফিসের অদূরেই ২ বছর ধরে যা চলছিল…উদ্বেগের মাঝেই সামনে এল ভয়ঙ্কর ছবি, এবার তৎপর কেন্দ্র

Abhigyan Naskar | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 03, 2025 | 9:17 PM

Baruipur: ত্রিপুরা, অসম-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল রোহিঙ্গারা। বারুইপুরের হাড়দহেই পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। বারুইপুর পুলিশ সুপারের দফতর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে ওই এলাকা রোহিঙ্গা গ্রাম হিসাবেই খ্যাত।

Baruipur: মানবিকতার খাতিরেই নাকি এসবে মদত দেওয়া হচ্ছিল! বারুইপুরে SP অফিসের অদূরেই ২ বছর ধরে যা চলছিল...উদ্বেগের মাঝেই সামনে এল ভয়ঙ্কর ছবি, এবার তৎপর কেন্দ্র
বারুইপুরে হাড়দহ গ্রামে রোহিঙ্গা বসতি!
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বারুইপুর: বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অনুপ্রবেশ ইস্যু। আর তাতেই সামনে এসেছে রোহিঙ্গা ইস্যুও। অসম-ত্রিপুরার পাশাপাশি বাংলাতেও রোহিঙ্গারা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের হাড়দহ রোহিঙ্গা গ্রাম বলেই পরিচিত ছিল এতদিন। কিন্তু বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতির মাঝেই উধাও রোহিঙ্গা গ্রাম। প্রশ্ন উঠছে, কোথায় গেল বারুইপুরের রোহিঙ্গারা?

ত্রিপুরা, অসম-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল রোহিঙ্গারা। বারুইপুরের হাড়দহেই পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। বারুইপুর পুলিশ সুপারের দফতর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে ওই এলাকা রোহিঙ্গা গ্রাম হিসাবেই খ্যাত। হাড়দহ, বাঁশড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শ’তিনেকের বেশি রোহিঙ্গা থাকছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে পরিবার নিয়ে তাঁরা থাকতে শুরু করেন।

গত বছর থেকে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি, অনুপ্রবেশ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর, ধরপাকড়ের জেরে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ধরপাকড় চলছিল। আর এই আবহেই সামনে এল হাড়দহের ছবি। রোহিঙ্গাদের দু’বছরের বসতি উধাও। কোথায় গেলেন? কী বলছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা?

গ্রামবাসীরা বলছেন, “থাকতেন এখানে, আবার চলেও গেলেন।” কেউ আবার বলছেন, “বাঙালি ভাষার সঙ্গে ওদের আসলে মানাতে অসুবিধা হচ্ছিল।” দেশ বাঁচাও সামাজিক কমিটির সদস্য হোসেন গাজি বলেন, “এসেছিল ওরা। আমরাও মানবতার খাতিয়ে তাদের থাকার বন্দোবস্ত করেছিলাম। এসপি, আইবি-র তরফ থেকে সমস্ত রকমের তদন্ত হয়েছে। তারপর রিফিউজি কার্ড দেখেছে। দেখেছেন এখানে অবৈধ কিছু নেই, তারপর আধিকারিকরা চলে গিয়েছেন।” কিন্তু এখন তাঁরা কোথায়? উত্তর নেই কারোর কাছে।

স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান হাসিনা লস্করের সাফ স্বীকারোক্তি, মানবিকতার কারণে তাঁদের থাকতে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “পশ্চিম হাড়দহে ওনারা ছিলেন। মানুষের বিপদের দিনে যতটা সম্ভব, মানবিকতার কারণেই মেম্বারদের নিয়ে সেই চেষ্টাই করেছিলাম।” ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে তাঁরা থাকতে শুরু করেছিলেন।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মানবিকতার খাতিরে কি অনুপ্রবেশ ইস্যুকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে? বিষয়টি নিয়ে সচেতন কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বক্তব্য, “গোটা দেশ জানে তৃণমূল সরকার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলায় রেড কার্পেট বিছিয়ে রেখেছে।” যদিও বাংলার শাসকদল অনুপ্রবেশ ইস্যুতে BSF-কেই কাঠগড়াতে দাঁড় করিয়েছে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “অনুপ্রবেশ রুখতে গেলে আগে বর্ডার সামলাও, অনুপ্রবেশ অমিত শাহর দফতরের দায়িত্ব, রাজ্য পুলিশের দায়িত্ব নয়।”

Next Article