Bhangar: ভাঙড়ে ক্ষমতার জাহির! আরাবুলের এলাকায় ‘যত মত তত পার্টি অফিস’!

Satyajit Mondal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 07, 2023 | 12:45 PM

Bhangar: বামনঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছেন আরাবুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অষ্টপদ মণ্ডলের স্ত্রী। তাহলে কি এলাকার রাশ নিজের হাতে রাখতে পাঁচ পাঁচটা কার্যালয় অফিস থাকতেও আবার নতুন পার্টি অফিস!

Bhangar:  ভাঙড়ে ক্ষমতার জাহির! আরাবুলের এলাকায় যত মত তত পার্টি অফিস!
ভাঙড়ে আরাবুল ইসলাম
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সেচ দফতরের জায়গা দখল করে এবার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় করার অভিযোগ ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ভাঙড়ের বামনঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসন্তী হাইওয়ের পাশে সেচ দফতরের জায়গায় দলীয় কার্যালয় করছেন বলে অভিযোগ। আরাবুল ইসলাম বর্তমানে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। বামনঘাটা এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ চালানোর জন্য ওই দলীয় কার্যালয় বানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকির। বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিয়েছে সিপিআইএমও। তাঁদের বক্তব্য,  যত লবি ততগুলি দলীয় কার্যালয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আরাবুল ইসলাম। তাঁর বক্তব্য, সেখানে দলীয় কার্যালয় আগে থেকেই ছিল। সেটা ভেঙে নতুন কার্যালয় করা হচ্ছে। কোনও সময়ে জায়গার দরকার হলে জায়গা ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাঙড়ের বামনঘাটা এলাকার বাসন্তী হাইওয়ের পাশে নিউটাউন – সোনারপুর সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সেচ দফতরের জায়গায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় করছে ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। বামনঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিত্যগোপাল মণ্ডল দায়িত্ব নিয়ে এই দলীয় কার্যালয় তৈরি করছে।”

বামনঘাটা এলাকায় কমবেশি তৃণমূলের পাঁচটি পার্টি অফিস আছে। তার পরেও এই অফিসের কী প্রয়োজন? আরাবুল ইসলাম বলেন,  “নতুন প্রধান হয়েছে। কাজ কারবার করার জন্য এই কার্যালয় করা হচ্ছে। অন্যগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এটাই অঞ্চল কার্যালয় হবে।”

বামনঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছেন আরাবুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অষ্টপদ মণ্ডলের স্ত্রী। তাহলে কি এলাকার রাশ নিজের হাতে রাখতে পাঁচ পাঁচটা কার্যালয় অফিস থাকতেও আবার নতুন পার্টি অফিস! তাও আবার সেচ দফতরের জায়গায়! প্রশ্ন উঠছে ভাঙড়ের রাজনৈতিক মহলে।

আরাবুল ইসলামের অবশ্য স্পষ্ট বক্তব্য, “বিভিন্ন জায়গায় সেভাবে সব দলের পার্টি অফিস রয়েছে, তা বলার কথা নয়। ওখানে আগেই একটা পার্টি অফিস ছিল, সেটা নতুন করে করা হচ্ছে। ঘরটা ভাঙা ছিল, তাই মেরামতি হচ্ছে। বলছে সরকারি জমি ঝাড়া হয়েছে। ওরকম কিছু নয়। যদি কোনওদিনও জায়গা ছেড়ে দিতে বলে, ছেড়ে দেব। আসলে নিন্দুকরা রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের সঙ্গে পারছে না। তাই এইসব করছে। “

Next Article